কানাইঘাটে দোকান থেকে আইসক্রিম বিক্রেতার লা শ উদ্ধার

সিলেটের কানাইঘাটে ফের হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এবার আব্দুর রহমান লাল মিয়া (৪০) নামে এক আইসক্রিম বিক্রেতার মাথায় মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত লাশ দোকান ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আইসক্রিম বিক্রেতা উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের লখাইরগ্রামের মৃত হাসন আলীর পুত্র আব্দুর রহমান লাল এর রক্তাক্ত লাশ পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডের প্রবাসী সেলিম উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনের নীচ তলার একটি দোকান ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার ওসি আব্দুল আউয়াল একদল পুলিশ নিয়ে সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট মর্গে প্রেরণ করেন। স্বজনরা জানান, ফেরী ফেরী করে আইসক্রিম ও খেলনা সামগ্রী বিক্রি করতেন লাল মিয়া। লাল মিয়ার লাশ দোকানের ভিতর থাকা চৌকি খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার বিছানার চাদর ও পরনের কাপর এলোমেলো ভাবে জড়িয়ে ছিল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা কোন কিছু পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, আব্দুর রহমান লাল মিয়া দীর্ঘদিন থেকে খোলা ভ্যানে করে আইসক্রিম ও খেলনা সামগ্রী ফেরী করে বিক্রি করতেন। গত বুধবার সাতবাঁক ইউনিয়নের লালারচক মাদ্রাসার জলসায় খেলনা ও আইসক্রিম বিক্রি করতে অনেকে দেখেছেন। ঐদিন রাত থেকে লাল মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তার সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। এতে সন্দেহ হয় পরিবারের। গতকাল শুক্রবার সকালে তার পরিবারের লোকজন এসে ভাড়াটিয়া দোকান ঘরের বাইরে তালা দেয়া দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে ঘরের চৌকি খাটের উপর মাথায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত লাল মিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার কারন জানা যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন জানান, লাল মিয়া বিবাহিত, তার এক ছেলে ও দুই শিশু মেয়ে রয়েছে। লাল মিয়া বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে আইসক্রিম বিক্রির সুবাদে সে পৌর শহরের একটি দোকানে ভাড়া ঘরে থাকত, মাঝে মধ্যে বাড়িতে যেত।

থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, আব্দুর রহমান লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন