যে বইটি ব্যথায় ব্যথিত

তাসলিমা খানম বীথি:

বই পড়ছি তো পড়ছি। আম্মা নামাজে বসার আগে বললেন ভাত দিকে খেয়াল রাখতে। আমি তখন বইয়ে আকর্ষণী পর্বে ডুবে আছি। সবকিছু গুল্লা যাক। আম্মা নামাজ শেষে রান্না ঘরে গিয়ে দেখেন ভাত জাউ। মাড় পরে চুলার নিচে ভেসে যাচ্ছে। আমি জারি থেকে বাঁচতে ওয়াশরুমে গিয়ে কত যে বই পড়েছি। তা হিসেব নেই। একটা সময় এমন ছিলো হাতে বই নিলে সেটি শেষ না হলে বই সাথে লেগেই থাকতাম। বইপড়া নিয়ে আম্মার কাছে কত জারি খেতাম। তখনও লেখালেখি তেমন করতাম না। আব্বা হাত খরচ জন্য যা দিতেন তা জমিয়ে বই কিনতাম। নিজের জমানো টাকা দিয়ে বই কিনেছি। তবে লেখালেখি শুরু পর থেকে আর কিনতে হয়নি। অনেকেই বই গিফট করত। কোন লেখকের লেখা বই কখনো পাঠকের ঘরে গিয়ে দিতে হয় না। লেখা যদি ভালো হয় বই পড়ার মত পাঠক থাকে তাহলে সে নিজেই খুজে বই পড়ে লেখক সাথে পরিচিত হবে। লেখকের কাজ লিখে যাওয়া পাঠক হৃদয় দাগ কাটার মত লেখা সৃষ্টি করা।

২.ভালো লেখা মানুষকে বই পড়তে আগ্রহী করে তুলে যেমন ‘শেষ বেলার বন্ধু’ বইটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। লেখক সৈয়দা ইসাবেলা কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। মাঝে মধ্যে এরকম প্রায়ই হয় যে বইয়ের লেখা আমাকে উজ্জীবিত করে প্রেরণা দেয় তখন নিজেই চেষ্টা করি সেই লেখকের অনুভুতি জানাতে। এ জগতে কেউ কারো না। তোমার জন্য তুমি। নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হয়। তা না হলে সারা জীবন কোনো না কোননেভাবে অপরের দ্বারা শোষিত নির্যাতিত হতে থাকবে। গল্পের নায়িকা মরিয়মকে তার ফুফু কথা মাথা নিচু করে কথাগুলো শুনছিল দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। নিজের জন্য বাচতে হয়। নিজের আত্মার শাস্তির জন্য সমস্ত বিশ্বে লড়ো। বইয়ের উৎসর্গ লাইনগুলো দেখে মনে হয়েছে অচেনা এই লেখক যেনো আমাকে উৎসর্গ করেছে প্রচন্ড আবেগাআপ্লুত করছে। জীবনকে সুন্দর ও ইতিবাচক হতে বই পড়া কোন বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন