মোহাম্মদ আব্দুল হক :
বইয়ের নাম পড়ে প্রথমেই ভেবেছিলাম এটা বোধহয় লেখকের ইংল্যান্ড ভ্রমণের কাহিনী। কিন্তু; পড়ার পরে বলছি, লেখক তাঁর ইংল্যান্ডের জীবনের বিভিন্ন সময়কে তুলে ধরেছেন। লেখক নিজেই ‘নিজের কথা’ অংশে লিখেছেন, “জীবনের প্রয়োজনে কখনো স্বল্প কখনো দীর্ঘ হয়েছে ব্রিটেনে বসবাস। এই সময় প্রবাহে যা আমার চোখে ধরেছে তার খন্ড খন্ড চিত্র ১২৮ পৃষ্ঠার এই জমিনে আঁকার চেষ্টা করেছি।” গ্রন্থের লেখক মোয়াজ আফসার আমাকে দেখে এগিয়ে এলেন, বললেন, হক ভাই আপনার জন্য একটা বই। আমি চেয়ার টেনে দিয়ে তাঁকে বসতে অনুরোধ করলাম। তিনি বসলেন এবং একটি বইয়ে লিখলেন —
“কবি প্রাবন্ধিক
মোহাম্মদ আব্দুল হক কে
প্রীতিসহ
মোয়াজ আফসার
২১.১০.২৪”
দুইজন পাশাপাশি চেয়ারে বসা। তিনি খুব যত্ন করে আমার হাতে তাঁর লেখা সুন্দর মলাটের বই ‘শেক্সপিয়ারের দেশে’ উপহার দিলেন। সাধারণত বই উপহার পেয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হয়। আমি ও মোয়াজ আফসার ভাই পাশাপাশি চেয়ারে বসে ছবি তুললাম। আমার একটা ধারণা জন্মেছে এসময়ে চমৎকার প্রচ্ছদ না-করার কারণে অনেক বই পাঠকের কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছে না। কথায় বলে, ‘প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী।’ মোয়াজ আফসার বইয়ের ভিতরে অত্যন্ত যত্ন করে তাঁর ইংল্যান্ডে বসবাসকালীন জীবনের কথা মোট সতেরোটি অধ্যায়ে আলাদা আলাদা শিরোনাম নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ‘শেক্সপিয়ারের দেশে’ বইটি ভালো খুঁজে পাই আলো। এটা নিয়ে ইতিমধ্যে লিখেছেন কেউ কেউ। আমি মনে করি অনুসন্ধানী মানুষ বইটি পড়ে কিছুটা হলেও জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ লেখককে।।