সিলেট নগরের সাগরদিঘীরপাড়ে ছুরিকাঘাতে শাওন আহমদ (২৫) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (০২ নভেম্বর) ভোররাতে ঢাকার উওরখান থানাধীন সামুলখার কমপ্লেক্স এর সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-সিলেট নগরের বাগবাড়ি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে সেলিম ওরফে ছালিম (২০) ও একই এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১)।
র্যাব-৯’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেট ও ঢাকাস্থ র্যাব-১, সিপিসি-২ এর যৌথ অভিযানে শনিবার ভোররাতে রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন সামুলখার কমপ্লেক্স এর সামনের সড়ক থেকে শাওন হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯’র সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাওন হত্যায় গ্রেফতার দুই আসামিকে আজ এসএমপি সিলেট কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হবে। অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নগরের সাগরদিঘীর পাড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শাওন আহমদ (২৫) গুরুতর আহত হন। রাত ১১টার দিকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শাওন আহমদ সিলেট নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে।
ঘটনার পরপরই সিলেট মহানগর পুলিশ জানায়, শাওন তার সহপাটিদের ছুরিকাঘাতে আহতের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ছিনতাইয়ের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে, ধারণা ছিল পুলিশের। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এই ঘটনায় ২০ অক্টোবর এসএমপির কোতয়ালী থানার মামলা (নং-২২(১০)’২৪) মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার অন্যতম আসামী সেলিম ওরফে ছালিম ও রাব্বি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। হত্যাকাণ্ডের ১৬ দিন পর দুই আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।