সিলেটে মানহানির অভিযোগ এনে সিলেট বারের এক আইনজীবী সদস্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। সিলেটে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি’কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি সিলেট জেলা বারের আইনজীবী সদস্য ও বিএনপি’র জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সাইবার মামলা নং-২৬১/২০২৪। ২০২৩ সনের সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৬/২৯ নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা মামমলায় ৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলার আসামীরা হলেন, সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজার এলাকার বাজার তল গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন তার ছেলে ফয়ছল আহমদ, বাজারতল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী রুনি বেগম, ঘোড়ামারা গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে ছগন মিয়া ও একই গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে আজির উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর বন্দর বাজার পয়েন্ট থেকে দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকা ক্রয় করে মামলার বাদী দেখতে পান “সাহেবের বাজার আইনজীবীর কারণে অসহায় একটি পারিবার” শিরোনামে পত্রিকাতে বাদীর বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিষয়টি অন্যান্য উল্লেখিত স্বাক্ষীরা বিভিন্ন সামাজিক ফেইসবুক মাধ্যমে নিউজটি শেয়ার করা হয়েছে দেখে মামলার বাদীকে তারা জানান। মামলার আসামীদের একে অপরের প্ররোচনায়, সহযোগিতায় ও উসকানিতে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাহার অনুমতি ছাড়া আক্রমনাত্মক মিথ্যা ও ভীতি পদর্শক তথ্য উপাত্ত প্রেরন করে বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিউজ পেপার, ফেইসবুক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাল্পনিক সংবাদ সাজাইয়া বাদীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করিয়া আসামীরা বাদীর মানহানি ও ক্ষতিসাধন করেন। মানহানিকর তথ্য প্রচার করে বাদীকে সামাজিক ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিসাধন করে আাসামীরা সমাজের কাছে বাদীর মানসম্মান নষ্ট করেন। যাহা সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ সনের বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এডভোকেট মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমি এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজারের নয়ন গংদের বেশ কয়েকটি মামলা আইনজীবী হিসাবে পরিচালনা করে আইনি সেবা দিয়ে থাকি। আমি নয়ন গংদের মামলা পরিচালনার বিষয়টি পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন মেনে নিতে পারেনি। নয়ন গংদের মৌরসি সম্পত্তি নিয়ে আকরাম উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। ভূমির বিরোধ নিয়ে আকরাম উদ্দিনের ভাই নিজাম উদ্দিন বিগত ২০২২ সালে নিহত হন। নয়ন গংদেরও একজন আজিজুর রহমান মারা যান। আমার অপরাধ আইনজীবী হিসাবে নয়ন গংদের মামলা পরিচালনা করা। এই আক্রোশে আামাকে মিথ্যা ভাবে নিজাম নিহতের ঘটনায় আসামী করে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন।
সবর্শেষ তারা আমার বিরুদ্ধে গতমাসের ২০ তারিখ মামলার আসামীদের একে অপরের প্ররোচনায়, সহযোগিতায় ও উসকানিতে আমার অনুমতি ছাড়া ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করে আমাকে সামাজিক ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিসাধন করেছে। আাসামীরা সমাজের কাছে আমার মানসম্মান নষ্ট করে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাননীয় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্শেদ দিয়েছেন। আমি আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পবো।
একই ভাবে আসামীদের বিরুদ্ধে বিগত ২০২০ সালে তৎকালীন দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সাংবাদিক মো. মতিউর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জিআর মামলা নং-৪১০/২০২০। পরে আসামীরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে আপোষ করেন। সবসময় আসামীরা মানুষের মানসম্মান নিয়ে খেলা করেন। আসামীরা প্রতিনিয়ত আমার মানসম্মান নষ্ট করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি।