বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  মহান বিজয় দিবস শ্রদ্ধা, দেশপ্রেম ও কৃতজ্ঞতার আবেগে স্মরণীয় করে রাখতে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট নগরীর মেট্রোপলিটন ল’ কলেজের সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ, বিজয়ের চেতনা এবং স্বাধীনতার অর্জনকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কবি কামাল আহমদের পবিত্র কুরআন তেলাওতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রিন্সিপাল কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিজয় দিবস বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদা, অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতীক। শহীদদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয়কে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. তাজ উদ্দীন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নে দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিজয়ের চেতনা মানে ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা। সত্য, সততা ও মানবিকতা—এই তিন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠতে পারে।” তিনি তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার এবং সমাজ পরিবর্তনে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। কবি ও সাংবাদিক হেলাল নির্ঝরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের মফিক আহমদ । অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সর্নবজনাব বদরুল ইসলাম চৌধুরী বদর, প্রচার সম্পাদক, এডভোকেট সৈয়দ কাউসার আহমদ, অধ্যক্ষ কামরুল হক, শিক্ষাবিদ নেছারুল হক চৌধুরী বুস্তান, সাধারণ সম্পাদক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল।  বক্তারা শহীদদের ত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, “বিজয় দিবস আমাদের অনুপ্রাণিত করে সৎ, দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক হতে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়িত হোক—এটিই আমাদের প্রত্যাশা।” আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা, শহীদদের স্মৃতি ও স্বাধীনতার মাহাত্ম্য তুলে ধরে হৃদয়স্পর্শী উপস্থাপনা করা হয়। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালিত হয়। বক্তারা বলেন, ইতিহাস ভুলে গেলে জাতি পথ হারায়—তাই পরবর্তী প্রজন্মকে সত্যিকার ইতিহাস জানানো অত্যন্ত জরুরি। অনুষ্ঠানে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের চলমান সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম, শিক্ষা সহযোগিতা, সহায়তামূলক প্রোগ্রাম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শিক্ষা খাতে সহায়তা বৃদ্ধি, মানবিক উদ্যোগ সম্প্রসারণ এবং সমাজের উন্নয়নে নতুন প্রকল্প গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সভায় দেশ ও সমাজের কল্যাণে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আলোচনা সভা সমাপ্ত হয়।

শেয়ার করুন