জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই

সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ৪ আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী সাংবাদিক গোলজার আহমদ হেলাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।দুনিয়াব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বায়নের একটি চ্যালেঞ্জ।তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত এই পরিবর্তনে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের পাশাপাশি সমাজ জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে।তিনি বলেন,বৃক্ষরোপণ সবুজ পৃথিবী গড়তে সহায়তা করবে।আমরা একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়তে চাই।গাছপালা রক্ষার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আর্থিক সমৃদ্ধির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। তিনি বৃক্ষ কর্তন না করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শিকারখা সাকসেস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির গাছগুলো উপহার দেন সাংবাদিক ও ছড়াকার সৈয়দ মুহিব রহমান মিছলু।প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষক হেলাল আহমদ,প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্কুল ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন অতিথিবৃন্দ।এসময় সাংবাদিক মুরাদ হাসান,সাংবাদিক শুয়েব রানা,অভিভাবকগণ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। এর পূর্বে প্রধান অতিথি বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খোঁজ খবর নেন। বৃক্ষরোপণকালে প্রধান অতিথি বলেন, গাছ শুধু পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি বছরে অন্তত একটি গাছ রোপণের অভ্যাস গড়ে তোলে, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করা সম্ভব। তিনি বলেন,নিজের জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়ে সমাজের কল্যাণে ব্রতী হওয়ার এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন সিলেটের তরুণ সমাজসেবক, সাংবাদিক ও ছড়াকার সৈয়দ মুহিবু রহমান মিছলু। ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট ধূমপান ত্যাগ করার পর তিনি একটি মহৎ অঙ্গীকার করেন: ধূমপানে যে অর্থ ব্যয় করতেন, সেই টাকায় তিনি সমাজের কল্যাণে কাজ করবেন। পরিবেশের ক্ষতি এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তাঁকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে এবং সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় এই ‘নীরব বিপ্লব’। এরপর থেকেই তিনি প্রতিদিনের আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করে বর্ষা মৌসুমে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করে আসছেন সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।জৈন্তাপুর উপজেলার শিকারখা সাকসেস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এই মহৎ ধারাবাহিকতারই একটি অংশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গোলজার আহমদ হেলাল সৈয়দ মুহিবু রহমান মিছলুর এই উদ্যোগকে ‘নিরব বিপ্লব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, একজন মানুষ নিজের ভুল সংশোধন করে যখন সমাজের জন্য কাজ শুরু করেন, তখন তা অন্যদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। ধূমপান ত্যাগ করে মিছলু যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা কেবল পরিবেশ রক্ষায় নয়, মানবিক মূল্যবোধেরও এক উজ্জ্বল প্রতিফলন। তরুণ সমাজকে তাঁর পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। গাছের চারা হাতে নিয়ে হাসিমুখে তারা জানায় “আমরা সবাই চাই, আমাদের স্কুল সবুজে ঘেরা থাকুক। মিছলু ভাইয়ের মতো আমরাও প্রতিজ্ঞা করছি, গাছ লাগাব আর প্রকৃতিকে ভালোবাসব।’ নিজের উদ্যোগে বছরের পর বছর ধরে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া সৈয়দ মুহিবু রহমান মিছলু জানান, তিনি বিশ্বাস করেন ছোট একটি ভালো কাজও যদি নিয়মিত করা যায়, তাহলে তা একসময় সমাজে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। গাছ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনও বাঁচায়। পরিবেশ সচেতনতা, মানবিকতা ও নৈতিক দায়িত্ববোধের এক অনন্য মেলবন্ধন গড়ে তুলেছেন সৈয়দ মুহিবু রহমান মিছলু। তাঁর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে প্রকৃতি ও মানুষের কল্যাণে আন্তরিক হলে, একজন মানুষও পরিবর্তনের সূচনা ঘটাতে পারে।তাঁর এই বার্তাই যেন সবার মনে অনুপ্রাণিত হয়। ধূমপান নয়, গাছ লাগানোই হোক অভ্যাস ধোঁয়া নয়, সবুজেই বাঁচুক পৃথিবী।

শেয়ার করুন