সালেহ আহমদ খসরু সময় সংকটে প্রতিবাদী চেতনায় এগিয়ে এসেছেন
কবি, বাচিকশিল্পী ও কলামলেখক সালেহ আহমদ খসরু একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব। তিনি সময় সংকটে প্রতিবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। যিনি ছিলেন রাজপথের কর্মী, তিনিই সাহিত্যকে ভালোবেসেছেন আপনমনে। এজন্য নবসৃষ্টির উল্লাসে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাঁর জৈবনিক শক্তি একটি আলোকিত সমাজগঠনে দিকপাল হয়ে কাজ করছে।
কবি, বাচিকশিল্পী ও কলামলেখক সালেহ আহমদ খসরু’র কবিতাসন্ধ্যা ও ‘মাধবীলতার সংসার’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার (১ অক্টোবর) শাহী ঈদগাহ টিবি গেইটস্থ সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অত্যন্ত আনন্দঘন, উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইকবাল, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ,, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের (কেমুসাস) সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর চৌধুরী মামুন আকবর, কেমুসাস’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি সালেহ আহমদ খসরু ও কবিপতœী খন্দকার রোমানা আহমেদ।
সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের ৩২৮ তম সাহিত্য আসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি ইশরাক জাহান জেলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংসদের সভাপতি ভ্রমণকাহিনী লেখক মোয়াজ আফসার, ‘সালেহ আহমদ খসরু এক বহুমাত্রিক নাগরিকের প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মুহিত চৌধুরী। অনুষ্ঠানের একেবারে শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি ক্বারী আব্দুল বাছিত।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক সুমনকুমার দাশ, কবি অ্যাডভোকেট আবদুল মুকিত অপি, সিলেট জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হাসান, বারাকা পাওয়ার প্লান্টের এমডি ফাহিম আহমদ চৌধুরী, কবি সালেহ আহমদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তামিম আহমদ, কবি বেলাল আহমদ চৌধুরী, কবি শামসীর হারুনুর রশিদ, কবি এখলাসুর রহমান, কবি রাহনামা শাব্বীর চৌধুরী, কবি সাজন আহমদ সাজু, সাংবাদিক এমএ ওয়াহিদ চৌধুরী প্রমুখ।
নিবেদিত লেখা পাঠে অংশ নেন কবি মামুন সুলতান, কবি সেনুয়ারা আক্তার চিনু, কবি রিপণ মিয়া, কবি সুফি আকবর, কবি কামাল আহমদ, কবি হোসাইন হামিদ, কবি কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, আকন মাজহারুল ইসলাম মেনন। অনুষ্ঠানে সিলেটের স্থানীয় দৈনিক ‘সুরমা মেইল’-এর উদ্যোগে সালেহ আহমদ খসরুর ৬৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ক্রোড়পত্র ও প্রকাশনা সংস্থা দোঁআশ থেকে প্রকাশিত সালেহ আহমদ খসরুর নতুন কবিতাগ্রন্থ মাধবীলতার সংসার-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের একফাঁকে সালেহ আহমদ খসরু রচিত একটি গান পরিবেশন করেন শিল্পী অয়ন দে। এ গানে সুর দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে সিলেটের সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে শাবিপ্রবির প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম বলেছেন, কবি সালেহ আহমদ খসরু মাটি ও মানুষের অভিভাবক। সময়-সংকটে তাঁকে আমি খুঁজে পেয়েছি। তাকে চিনতাম একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ হিসেবে। কিন্তু তাকে নতুন করে জানলাম একজন কবি, গীতিকার, বাচিকশিল্পী ও কলামলেখক হিসেবে। উৎকর্ষ ও সাফল্যের প্রোগ্রামে তাঁকে পেয়ে আমি আনন্দি।
নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইকবাল বলেছেন, সালেহ আহমদ খসরু আমার বড় ভাই। তিনি বহুগুণে গুণান্বিত একজন মানুষ। তাঁর স্ত্রী পাশে ছিলেন বলে তিনি এতদূর আসতে পেরেছেন। সালেহ ভাইয়ের মধ্যে একটি প্রেরণা কাজ করে পরবর্তী জেনারেশনের জন্য কিছু করার জন্য। এই গুণটি আমার খুব ভালো লাগে।
প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক বলেছেন, সালেহ ভাইয়ের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া তাঁর সঙ্গে আমার আদর্শের মিল রয়েছে। এ হিসেবে সিলেট শহরে আমি বিশ বছর ধরে থাকলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হয়। তিনি একজন জাতীয়তাবাদী এবং দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন।
অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেন, সালেহ আহমদ খসরু একজন বাগ্মী পুরুষ। রাজনীতির মাঠকে ছেড়ে তিনি কবিতাকে ভালোবেসেছেন। কবিতা তাকে ছাড়েনাই। তিনি কবিতাকে পড়েছেন এবং ধারণ করেই কবি হয়ে উঠেছেন।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net