
বাংলা ছড়া সাহিত্যে সিলেটের লেখকদের গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে। ছড়াকার আবু সালেহ, ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাইসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান ছড়াকাররা অবলীলায় স্বীকার করেছেন সিলেটকে বাংলাদেশের ছড়া সাহিত্যের রাজধানী বলা যায়, এটা অত্যুক্তি হবে না। এছাড়া ছড়া শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে যে ভূমিকা রাখে তা নয়, ছড়া রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। আমাদের ২৪শের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছড়াকাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তারা ছড়ার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদেরকে উজ্জীবিত করেছেন।
সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে ‘সিলেটের ছড়া সাহিত্য’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ছড়াকার প্রভাষক কামরুল আলম একথা বলেন।
নগরীর মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সাইক্লোনের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাসলিমা খানম বীথি’র সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত সাইক্লোনের ৩১৩ তম সাহিত্য সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ছড়াকার আব্দুস সামাদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইক্লোনের সভাপতি ভ্রমণকাহিনি লেখক মোয়াজ আফসার এবং নির্ধারিত আলোচকের বক্তব্য দেন ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজার। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, বাংলাদেশ যমুনা অয়েল কোম্পানির ডাইরেক্টর কবি বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ খসরু।
গীতিকবি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় ছড়াপাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন সাইক্লোনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইশরাক জাহান জেলী, ছড়াকার ছয়ফুল আলম পারুল, ছড়াকার সাজ্জাদুর রহমান সাজু, গীতিকবি কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, কবি কামাল আহমদ, মুহাম্মদ হোসাইন হামিদ, জেসির আরাফাত প্রমুখ।