
সিলেট মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। শহীদ জিয়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে বিএনপি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় দল এবং বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া বিচক্ষনতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে দেশকে পরিচালনা করে দেশের গরীব মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করেছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ ও স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে তাঁর আপোষহীন ভূমিকা তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। শত নির্যাতন ও নিপীড়নরে পরও তিনি দেশের মানুষকে বিপদে ফেলে দেশের বাইরে যান নি, যা এদেশের মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার প্রমাণ দেয়। বেগম খালেদা জিয়া’র জীবন থেকে আমাদেরকে রাজনীতির পাঠ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, একটি গোষ্ঠি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছিল। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মুহম্মদ ইউনূস জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে নির্বাচন দিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছে দেশের মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, জননেতা তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়নে প্রতিটি জাতীয়তাবাদী কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
গত রবিবার (১৫ জুন) সিলেট নগরীর চৌকিদিঘীস্থ নিজ বাসভবনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হয় এবং সিলেটে ধানের শীষ নিয়ে যে প্রার্থী আসবেন তাঁর পক্ষে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মুনিম, দবির আহমদ, মো. নুর মিয়া, নাদিম চৌধুরী বেলাল, মির্জা জাহেদ, মো. জাহেদ আহমদ, কামাল আহমদ, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন আলম, মো. জামাল উদ্দিন, রাজা মিয়া প্রমুখ।