প্রধান উপদেষ্টা সহ ৩ উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি

সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে সোমবার (২৬ মে ২০২৫) বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাধারণ জনগণের জন্য প্রতিটি সরকারী অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে ‘নাগরিক সময়’ নির্ধারণের দাবীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ ৩ উপদেষ্টা বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জাতীয় যুব দিবস ২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে সাংগঠনিক দায়িত্বশীলদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহীম, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়াজী, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ সুহেল মিয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, সিলেট মহানগর কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, নেতৃবৃন্দদের মধ্য থেকে সাগর দে, মোঃ জহিরুল হক জাকির, মোঃ জুয়েল মিয়া, কামরুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ শুয়াইব আহমদ ও সঞ্জয় দেবনাথ।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ সাধারণ জনগণের টাকায় পরিচালিত প্রায় সরকারী অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ নেই। অফিসের বাহিরে দেয়ালে সাক্ষাতের সময়সূচী দেয়া থাকলেও ঐ সময়েও সাক্ষাত করা যায় না। অফিসের কর্তা ব্যক্তি ঐ নির্দিষ্ট সময়ে কাজে ব্যস্ত থাকায় আমরা যে কাজে ঐ অফিসে যাই, সেই কাজ আর হয়না। অনেক সময় ঐ কর্তাব্যক্তির একটি স্বাক্ষরের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়। ঐ সকল কর্তাব্যক্তিদের আচরণে মনে হয়, আমরা সাধারণ জনগণ তাদের কাছে জিম্মি। আমরা এই জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চাই। শীঘ্রই আপনার মাধ্যমে সরকারী প্রতিটি অফিসে সাধারণ জনগণের সাক্ষাতের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে নাগরিক সময় নির্ধারণ করার দাবী জানাচ্ছি। অন্তত ঐ নির্দিষ্ট নাগরিক সময়ে আমরা সাধারণ জনগণ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারি। সাধারণ জনগণের জন্য সরকারী সকল অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা খুবই প্রয়োজন। কারণ সরকারী প্রতিটি অফিসেই বিশেষ করে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন অফিসের পরিচালক, উপ-পরিচালক ও উচ্চপদস্থ যেকোন কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করতে গেলে নির্দিষ্ট অফিসগুলোতে সাক্ষাতের একটি সময় লেখা থাকে। কিন্তু সেই সুনির্দিষ্ট সময়ে ঐ অফিসে কর্তা ব্যক্তির সাথে আমরা সাধারণ জনগণ দেখা করতে পারি না। কখনো দেখা যায় তিনি অফিসে থেকেও ব্যস্ত, কখনো অফিস সভায়,আবার কখনো বাহিরে সভায় ও সাথে ভার্চূয়ালী সভায় ব্যস্ত। আমরা সাধারণ জনগণ কোনো কাজে যেকোনো সরকারী অফিসে গেলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে দেখা করার প্রয়োজন হয়, তখন বাঁধসাধে। দেখা করতে গেলে কখনো একদিন, কখনো এক সপ্তাহে সেটা হয়ে উঠে না। ভাগ্য প্রসন্ন হলে একদিনেও দেখা হতে পারে, না হলে নয়! আমরা প্রতিটি অফিসেই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে দেখা করার সময় লেখা দেখি, কিন্তু দেখা পাইনা। কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারীদের সাথে বার বার দেখা হলেও কর্মকর্তার সাথে দেখা হয়না। তাই দেশে বিদেশে অবস্থানরত ১৮ কোটি সাধারণ জনগণের ভ্যাট, ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রতিটি সরকারী অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে ‘নাগরিক সময়’ নির্ধারণ করা বর্তমান সময়ের দাবী। অচিরেই নাগরিক সময় নির্ধারণ করতে ও এতদ্বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শেয়ার করুন