দায়িত্ব পেয়েই কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দুলাল আহমদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জাল উত্তরাধিকারী সনদ তৈরি করে মানুষের কাছে বিক্রি করছেন। এতে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কানাইঘাটের তালবাড়ি ইউপি’র তালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. বদরুল আলম চৌধুরী মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বদরুল আলম চৌধুরী জানান, চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম একজন মিথ্যাবাদী, লাঠিয়াল এবং জালিয়াতকারী ব্যক্তি। তার সকল কৃত অপরাধের মূল উৎস ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দুলাল আহমদ। তাদের দেওয়া ‘ভুয়া’ উত্তরাধিকারী সনদগুলো বিভিন্ন দলিল সম্পাদনে ব্যবহৃত হয়। সেই সাথে দেওয়ানী আদালতে বিভিন্ন মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দালিলিক স্বাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বদরুল আলম জানান, তাদের জাল-জালিয়াতির প্রমাণ উপস্থাপন করে তিনি ২০২৩ সালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নং- ৫ কানাইঘাট, সিলেটে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পায় ও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। যার প্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে তারা দু’জন আদালতে উপস্থিত হয়ে ৫শ’ টাকা বন্ডে অস্থায়ী জামিন লাভ করেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে তারা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন।
বদরুর আলম অভিযোগ করেন ওয়ার্ড সদস্য দুলাল আহমদের অন্যতম সহযোগী চৌধুরী এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কবির চৌধুরী তার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান। যার কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল ১২৪/২০২৩ইং স্মারক উল্লেখ করে চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ও সদস্য দুলাল আহমদ একটি জাল উত্তরাধিকারী সনদ তৈরি করেন। যা ইউনিয়ন পরিষদের মেইন স্মারক বইয়ের রেকর্ডে উল্লেখ নেই। বর্তমানে ১২৪/২০২৩ ইং স্মারকের ওই জাল উত্তরাধিকারী সনদটি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফখর উদ্দিন নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে একটি স্বত্ব বাটোয়ারা মামলায় ভূমিকা রাখছে। বদরুল আলম বলেন, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইনে কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা ওয়ার্ড সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। সেই বিধান অনুযায়ী ওই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net