
বরেণ্য কবি মুকুল চৌধুরী (মঞ্জুরুল করিম চৌধুরী) আর নেই। তিনি ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবি মুকুল চৌধুরী ১৯৫৮ সালের ২২ আগস্ট সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালোপার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন শ্রমনিষ্ঠ কবি ও লেখক। গত শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে লিখে গেছেন নিরলসভাবে। কবিতার পাশাপাশি গদ্য সাহিত্যেও তিনি শক্তিমান ঝরঝরে বুদ্ধিদীপ্ত। প্রবন্ধ গবেষণা এবং কিশোর-রচনা ও সম্পাদনায় তার রয়েছে স্বচ্ছন্দ ও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ বিচরণ।
মুকুল চৌধুরীর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২৯টি। এর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ নয়টি, প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ নয়টি, কিশোর গ্রন্থ পাঁচটি, সম্পাদিত গ্রন্থ ছয়টি। তার প্রথম কবিতার বই ‘অস্পষ্ট বন্দর’ ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়।
মুকুল চৌধুরী তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরুপ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার (২০২১), রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার (২০০৬), সাহিত্য পুরস্কার বাংলাদেশ সংস্কৃতি সংসদ ঢাকা (১৯৯৭), জালালাবাদ সাহিত্য পুরস্কার (২০১২), ডা. এ. রসুল সাহিত্য পুরস্কার (২০১৭), ইংল্যান্ডের বুক অব দি ইয়ার এচিভমেন্ট এওয়ার্ড (১৯৯৬) -তে ভ‚ষিত হন।
মুকুল চৌধুরীর লাশ আজ ২৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টায় নব্বই বছরের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে আনা হয়। এখানে দোয়া পরিচালনা করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মো. নজরুল ইসলাম। পরে বাদ জোহর নয়াসড়ক জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মানিকপীর রহ: গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে মুকুল চৌধুরী স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। ২৩ এপ্রিল বাদ মাগরিব কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ কবি মুকুল চৌধুরী স্মরণে তাৎক্ষণিক শোকসভার আয়োজন করে।