
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন,গুম, খুন, গণহত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও লুটপাটের অভিযোগে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচার, নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান শুরু থেকেই বিভ্রান্তিকর। এর বাইরে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু নেতার ভূমিকাও বেশ রহস্যজনক। তাদের কেউ কেউ একবার বলছেন আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হোক তারা চান না, আবার বলছেন, আওয়ামী লীগের নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা। তাদের কারও কারও কাছে এখনই ‘বার বার ফ্যাসিবাদ শব্দ শুনতে ভালো লাগেনা’।
তিনি দূঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামীলীগের হাতে থাকা দগদগে রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি এবং তাদের একজন সাধারণ কর্মীর কণ্ঠেও ভুল স্বীকার বা ক্ষমা চেয়ে অনুতপ্ত হওয়ার কোন লক্ষণ নাই।
তিনি বলেন,আওয়ামীলীগের হাত এখনো রক্তে রঞ্জিত। অথচ ৬/৭ মাস যেতে না যেতেই তাদের হাতে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত দলের নেতাদের এরকম দ্বিধান্বিত অবস্থান খুবই হতাশাজনক। বিলম্ব না করে জাতিসংঘ কর্তৃক খুন, সন্ত্রাসবাদ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগের ব্যাপারে একটি ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য মঞ্জু অন্তর্বর্তী সরকারসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এবি পার্টি সিলেট মহানগর আয়োজিত শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে শুক্রবার এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব বক্তব্য রাখেন। দলের মহানগর আহ্বায়ক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিকেল ৫ টায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ একটি অভিজাত হোটেলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, মহানগর সদস্য সচিব রেজাউল করিম শোয়েব।
জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট হোসাইনুর রহমান লায়েছ ও মহানগর যুব পার্টির আহবায়ক তানজিল নাফীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এ এম এম সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, এবি পার্টির সিলেট জেলা আহবায়ক এডভোকেট নাজমুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ গোলজার আহমদ হেলাল, টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ইমজার সেক্রেটারি সাকিব আহমদ মিঠু, দুর্নীতি মুক্ত করণ ফোরামের নেতা মকসুদ হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা সমন্বয়কারী আবু সাঈদ, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নুর, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক বাসস সিলেট প্রতিনিধি শুয়াইবুল ইসলাম,ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর,সুনামগঞ্জ জেলা এবি পার্টির আহবায়ক জসীম উদ্দিন, মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা মেহেদী হাসান, কামাল আহমদ আম্বিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, এবারের রমজানে প্রমাণ হয়েছে সরকার যদি প্রশ্রয় না দেয় তাহলে দ্রব্যমূল্য যারা বাড়ায় তারা জনগণের পকেট কাটতে পারেনা। সরকার আরো আন্তরিক ও সিরিয়াস হলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। দেশের বাইরে থেকে আওয়ামীলীগের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, দূর্ভাগ্যজনকভাবে ভারত সরকার এসব উস্কানিতে অন্যতম সহযোগি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। গত তিনটি ভূঁয়া ,ডামি ও রাতের চুরির নির্বাচনে ভারত সরকার ছিল আওয়ামীলীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তখন তারা আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি বরং বলেছে এটা নাকি আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন তারা বলছে বাংলাদেশে এবার তারা একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন চায়। তাদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতও বলছে আওয়ামীলীগ অংশ না নিলে নাকি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা। আকারে ইঙ্গিতে আমাদের সেনাপ্রধানও একই কথা বলছেন।
মঞ্জু বলেন, আওয়ামীলীগ অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, তবে তার আগে তারা যাদেরকে নৃশংসভাবে খুন করেছে সেই হাজার হাজার সন্তানহারা মায়েদের কোলে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে হবে।যাদেরকে হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে তাদেরকে ফেরত দিতে হবে। যাদেরকে পৈশাচিক নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে তাদের চোখ, হাত, পা ফেরৎ দিতে হবে। আমাদের লুট করা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ফেরৎ আনতে হবে। ইলিয়াস আলী সহ সবাইকে ফেরত দিতে হবে। তিনি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অধিকার নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনে গণভোট দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ইফতার মাহফিলে সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান বিভ্রান্তিকর
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন,গুম, খুন, গণহত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও লুটপাটের অভিযোগে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচার, নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান শুরু থেকেই বিভ্রান্তিকর। এর বাইরে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু নেতার ভূমিকাও বেশ রহস্যজনক। তাদের কেউ কেউ একবার বলছেন আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হোক তারা চান না, আবার বলছেন, আওয়ামী লীগের নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা। তাদের কারও কারও কাছে এখনই ‘বার বার ফ্যাসিবাদ শব্দ শুনতে ভালো লাগেনা’।
তিনি দূঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামীলীগের হাতে থাকা দগদগে রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি এবং তাদের একজন সাধারণ কর্মীর কণ্ঠেও ভুল স্বীকার বা ক্ষমা চেয়ে অনুতপ্ত হওয়ার কোন লক্ষণ নাই।
তিনি বলেন,আওয়ামীলীগের হাত এখনো রক্তে রঞ্জিত। অথচ ৬/৭ মাস যেতে না যেতেই তাদের হাতে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত দলের নেতাদের এরকম দ্বিধান্বিত অবস্থান খুবই হতাশাজনক। বিলম্ব না করে জাতিসংঘ কর্তৃক খুন, সন্ত্রাসবাদ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগের ব্যাপারে একটি ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য মঞ্জু অন্তর্বর্তী সরকারসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এবি পার্টি সিলেট মহানগর আয়োজিত শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে শুক্রবার এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব বক্তব্য রাখেন। দলের মহানগর আহ্বায়ক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিকেল ৫ টায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ একটি অভিজাত হোটেলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, মহানগর সদস্য সচিব রেজাউল করিম শোয়েব।
জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট হোসাইনুর রহমান লায়েছ ও মহানগর যুব পার্টির আহবায়ক তানজিল নাফীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এ এম এম সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, এবি পার্টির সিলেট জেলা আহবায়ক এডভোকেট নাজমুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ গোলজার আহমদ হেলাল, টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ইমজার সেক্রেটারি সাকিব আহমদ মিঠু, দুর্নীতি মুক্ত করণ ফোরামের নেতা মকসুদ হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা সমন্বয়কারী আবু সাঈদ, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নুর, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক বাসস সিলেট প্রতিনিধি শুয়াইবুল ইসলাম,ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর,সুনামগঞ্জ জেলা এবি পার্টির আহবায়ক জসীম উদ্দিন, মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা মেহেদী হাসান, কামাল আহমদ আম্বিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, এবারের রমজানে প্রমাণ হয়েছে সরকার যদি প্রশ্রয় না দেয় তাহলে দ্রব্যমূল্য যারা বাড়ায় তারা জনগণের পকেট কাটতে পারেনা। সরকার আরো আন্তরিক ও সিরিয়াস হলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। দেশের বাইরে থেকে আওয়ামীলীগের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, দূর্ভাগ্যজনকভাবে ভারত সরকার এসব উস্কানিতে অন্যতম সহযোগি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। গত তিনটি ভূঁয়া ,ডামি ও রাতের চুরির নির্বাচনে ভারত সরকার ছিল আওয়ামীলীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তখন তারা আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি বরং বলেছে এটা নাকি আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন তারা বলছে বাংলাদেশে এবার তারা একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন চায়। তাদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতও বলছে আওয়ামীলীগ অংশ না নিলে নাকি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা। আকারে ইঙ্গিতে আমাদের সেনাপ্রধানও একই কথা বলছেন।
মঞ্জু বলেন, আওয়ামীলীগ অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, তবে তার আগে তারা যাদেরকে নৃশংসভাবে খুন করেছে সেই হাজার হাজার সন্তানহারা মায়েদের কোলে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে হবে।যাদেরকে হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে তাদেরকে ফেরত দিতে হবে। যাদেরকে পৈশাচিক নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে তাদের চোখ, হাত, পা ফেরৎ দিতে হবে। আমাদের লুট করা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ফেরৎ আনতে হবে। ইলিয়াস আলী সহ সবাইকে ফেরত দিতে হবে। তিনি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অধিকার নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনে গণভোট দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ইফতার মাহফিলে সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।