প্রাননাশের হুমকীর কারণে সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আলী আশফাক অপু দেশত্যাগ করেছেন।। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, নগরীর পূর্ব পীর মহল্লার প্রভাতী ৫০/সি-এর বাসিন্দা ও সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর সড়কের অপু ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী শাহ আলী আশফাক অপু দীর্ঘদিন থেকে সততার সাথে ব্যবসা করে আসছেন। ফলে ব্যবসায় ব্যাপক সাফল্য অজন করেছেন এবং ব্যবসার এই সাফল্যই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা গ্রুপ তার প্রতিষ্ঠানে তেল সরবরাহ করে এবং ব্যবসার ধারাবাহিকতায় পদ্মা গ্রুপকে পেট্রোলের মূল্য বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। এঅবস্থায় গ্রাহকরা তার প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত তেলে ভেজাল থাকার অভিযোগ করেন। গ্রাহকের আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে অপু একজন প্রকৌশলীর সহায়তার গ্রাহকদের অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নেন। প্রকৌশলীর পরীক্ষায় গ্রাহকদের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। দেখা যায় তেল সরবরাহকারী কোম্পানী পদ্মা গ্রুপ তাদের সরবরাহকৃত পেট্রোলের সাথে কেরোসিন মিশিয়ে পেট্রোল সরবরাহ করেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় নিম্নমানের পেট্রোল ফিরিয়ে নেওয়া ও ব্যবসায়ী অপু প্রদত্ত ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত প্রদানের জন্যে পদ্মা কোম্পানিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু কোম্পানি ভেজাল পেট্রোল ফেরত নিতে ও তার প্রদত্ত ৫০ লাখ টাকা ফেরত দিতে অসম্মতি জানায়।।
শাহ আলী আশফাক অপু জানান, আমি তখন বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাদের পেট্রোলিয়াম ব্যবসায়ীদের সংস্থা পেট্রো বাংলা কাছে অভিযোগ করলে তারা তদন্তে গ্রাহকদের অভিযোগ সত্যতা নিশ্চিত করেন। তখন পদ্মা গ্রুপকে জানালে তারা অভিযোগের প্রতি কর্ণপাত না করে টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। তখন সমস্ত ফিলিং স্টেশনের মালিকরা সংহতি প্রকাশ করে পদ্মা গ্রুপ থেকে পেট্রোল ক্রয়ে অপারগতা প্রকাশ করে এবং পদ্মা কোম্পানিকে বয়কট করার সিদ্বান্ত গ্রহন করে। এতে কোম্পানি তাদের সুনাম বিনষ্ট ও ব্যবসার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দায়ভার আমার উপর ফেলে এবং আমাকে দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করে। এমনকি প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের দাপট খাটিয়ে ২০২৩ সালের ২৩ শে জুন আমার বাসভবনে আক্রমন করে আমাকে মারধর করে আহত করে। তখন আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করলে তারা তা গ্রহন করেন নি। তখন আমি সিলেটের বাইরে অবস্থান গ্রহন করলে সেখানে গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন আমাকে খুজতে আসে এবং ফোনে প্রাননাশের হুমকী প্রদান করে। জীবন বাচানোর জন্য পরিবার পরিজন ছেড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net