পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা করতে গিয়ে কুলাউড়ায় একটি পরিবার হয়রানির মুখে পড়েছে। ব্ল্যাংক চেক দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে পরিবারটি। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের মোছা. প্রিয়া বেগম মনি এ অভিযোগ করেন। তিনি কুলাউড়ার টিলাগাঁও ইউনিয়নের পাল্লাকান্দি নইমপুর গ্রামের মো. বাছন আহমদের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনি জানান, ২০২০ সালের শুরুর দিকে তার স্বামী রাউতগাঁও ইউনিয়নের নর্তন গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র রুহুল আমিনের মালিকানাধীন আল ওসাম পোল্ট্রি ফিড এন্ড চিকস নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্রয়লার মোরগির বা”চা, খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করে আনেন। ব্যবসার শুরুর দিকে রুহুল আমিন জামানত স্বরূপ একটি চেক প্রদানের কথা বললে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। কিš‘ রুহুল আমিন ব্ল্যাংক চেক দাবি করলে ব্যবসার স্বার্থে এবং সরল বিশ্বাসে একটি ব্ল্যাংক চেক প্রদান করেন। কিš‘ এটি যে তার পাতানো ফাঁদ, সেটি বুঝতে পারিনি। পরবর্তীতে এই ব্ল্যাংক চেকে ২০ লক্ষ টাকা লিখে সেটি ব্যাংকে জমা দেয় এবং ডিজঅনার করায়। যা সম্পূর্ণরূপে তার প্রতারণার অংশ। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরেছি রুহুল আমিন শুধু আমাদের সাথে নয়, আরও অনেক ক্ষুদ্র পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের সাথে একই রকম প্রতারণা করেছে। তার ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রুহুল আমিন এই ব্ল্যাংক চেক ডিজঅনার করিয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতে এনআই এ্যাক্টে মামলা দায়ের করে। যার নং ৭৮/২২। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর রুহুল আমিন ¯’ানীয় ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে তাদেরকে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা দিলে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিš‘ তারা এই প্রস্তাবে রাজি হননি। কারণ তাদের কাছে রুহুল আমিনের কোনো টাকা বকেয়া নেই বলে জানান।
তিনি বলেন, এই প্রস্তাব থেকেই প্রমাণ হয় ২০ লক্ষ টাকা পাওনা দাবি করে চেক ডিজঅনার মামলাটি মিথ্যা। এছাড়া, ২০২১ সালের ২ নভেম্বর তার প্রতিষ্ঠান থেকে একটি নোটিশ আমার স্বামীর কাছে পাঠায়। ওই নোটিশে উল্লেখ করে আমার স্বামীর নিকট ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাবে। এর প্রায় মাস খানেক পর রুহুল আমিন আমার স্বামীর নিকট আরেকটি উকিল নোটিশ পাঠিয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে। এভাবেই বিভিন্ন সময়ে সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হয়রানি করে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়া বেগম মনি এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।