হোটেল সেক্টরে ৩০ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণার দাবিতে দেশব্যাপী বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের আহবানে সিলেটেও কর্মসূচী পালন করে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন। ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় কোর্ট পয়েন্টে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া (সাগর)এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিন সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, চন্ডীপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমেদ ভূঁইয়া, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: সামির।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩০ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে দীর্ঘদিন যাবত হোটেল শ্রমিকরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় শ্রমিকদের দাবির বিপরীতে মালিকদের স্বার্থরক্ষায় নামকাওয়াস্তে একটি মজুরি ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতি ৫ বছর অন্তর বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন মজুরি ঘোষণার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০১৭ সালে ঘোষণার পর ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন মজুরি ঘোষণার কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। মালিকদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত বানচাল করে যৌক্তিক মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আজ (২৪ ডিসেম্বর) মজুরি বোর্ডে সকাল ১১টা হতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে শ্রমিকরা যা বেতন পায় তা দিয়ে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় মজুরি বোর্ডে যৌক্তিক মজুরি ঘোষণা না হলে ধর্মঘটের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্টানে আন্দোলন বেগবান করার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ গতকাল চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজের ৭জন শ্রমিকদের গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যায় তীব্র ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেন। হোটেল শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। শুধু নৌ-শ্রমিকরা নয়, হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে অনিরাপদ। নানান সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে, আগুন লেগে সহ নানা দূর্ঘটনার শিকার হন হোটেল শ্রমিকরা। জীবনের নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।
সমাবেশ থেকে এমভি জাহাজের শ্রমিক হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান এবং বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন এবং নিহত প্রত্যেক পরিবারকে রাস্ট্রীয়ভাবে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।