মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে
…প্রফেসর ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে জাতিকে বিভাজন করা হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে হবে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সঠিক কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষা দিতে হবে। একজন শিক্ষকই পারেন তার শিক্ষার্থীকে উজ্জীবিত করতে।
সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘মুহিবুর রহমান একাডেমি’র এক যুগপূর্তি উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী ও বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) একাডেমির প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমদাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একাডেমির রেক্টর সালমা খানম চৌধুরী, সরকারি মদনমোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট সিলেট জেলার সভাপতি এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোট সিলেটের সমন্বয়ক অধ্যাপক মোঃ ফরিদ আহমদ, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ বদরুল আলম, সিলেট কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হারুন মিয়া। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে মুহিবুর রহমান একাডেমি। ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর এর এক যুগ পূর্তি হয়েছে। মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানে ও ইংরেজি কারিকুলামে পাঠদান করা হয়। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে মক্তব শাখা চালু রয়েছে। মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৪টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এক যুগপূর্তি উপলক্ষে ফেঞ্চুগঞ্জে মুহিবুর রহমান একাডেমির শাখা উদ্বোধন করা হয়ে। ৩ দিনব্যাপী এক যুগপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নানাধরনের কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
স্বাগত বক্তব্যে একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান বলেন, আমরা নৈতিক মূল্যবোধ ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর মানুষ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি একাডেমির মাধ্যমে। আমরা সফলতার এক যুগ অতিক্রম করেছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং প্রেরণার। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা যেভাবে নিরলসভাবে কাজ করছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন বলেন, মুহিবুর রহমান একাডেমি সফলতার এক যুগ অতিক্রম করেছে। আমরা চেষ্টা করেছি, নানারকম আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদেরকে উজ্জীবিত করতে। আমি আশা করবো, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা সফলতার ধারাবাহিকতা রক্ষায় অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।