মো: জাবেদ আহমদ :
ষাটোর্ধ্ব আব্দুল ওয়াহাব দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল মধুমিতা সিনেমা হলের কাছাকাছি ফুটপাতে বসে লুঙ্গি বিক্রি করেন। আর কে মিশন রোড অফিসার্স ডরমিটরি হতে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়া আসার পথে প্রতিদিন দেখা হয় তাঁর সাথে, হয় সালাম বিনিময়। সকালবেলা খালি চোখে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পড়তে দেখা যায় তাঁকে, বলেন তিনি চশমা ছাড়াই পড়তে পারেন। আব্দুল ওয়াহাব এর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে। মসজিদে আজান হলে ভারি পলিথিনের পর্দা ফেলে নামাজে চলে যান। দোকানে বসেই পর্দা ফেলে দ্রুততার সাথে বাড়ি থেকে আনা দুপুরের খাবার খেয়ে নেন।
আজ দুপুরে তাঁর কাছ থেকে একটি লুঙ্গি কিনার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি খুশিমনে ৩টি লুঙ্গি দেখিয়ে আমার পছন্দের ১টি লুঙ্গি দেন। আমি পাঁচশত টাকার নতুন নোট দিলে তিনি পঞ্চাশ টাকা ফেরত দেন। আমি বললাম লাভ হবে কী, হেসে জানালেন হবে। বললেন তিনি সামান্য লাভে বিক্রি করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকেই তাঁর দোকানের ক্রেতা। ফুটপাতে ব্যবসা করলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে তিনি দোকানে কোন পলিথিন ব্যাগ রাখেন না।