সিলেটের মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বিষাদের ছায়া। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উপলক্ষ মন খারাপের। ঢাক-কাঁসরের বাদ্যি-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি, পূজারি-ভক্তদের পূজা অর্চনায় কেবলই মা দুর্গার বিদায়ের আয়োজন।
আজ রোববার শুভ বিজয়া দশমী। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। মর্ত্যলোক ছেড়ে বিদায় নেবেন মা। অশ্রুসজল চোখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিসর্জন দেবেন প্রতিমা। ভাঙবে মিলনমেলা।
আজ সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক চাদনীঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে বেলা ২টায় আলী আমজাদের ঘড়িঘরের সামনে এক প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী।
উৎসবের চতুর্থ দিনে গতকাল শনিবার একসঙ্গে মহানবমী ও দশমীবিহিত পূজা হয়। এদিন সকাল ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা হয়। পূজা শেষে যথারীতি পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতি হয়। আর সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে দশমীবিহিত পূজান্তে দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয়।
দিনটির প্রধান আকর্ষণ ছিল মণ্ডপে মণ্ডপে আরতি প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যা ও রাতকে উজ্জ্বল করে ভক্তরা মেতে ওঠেন নানা ঢঙে আরতি নিবেদনে। সেই সঙ্গে ছিল দিনভর পুরোহিতদের চণ্ডীপাঠ। মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের কীর্তন বন্দনা। এ উপলক্ষে সিলেটের বিভিন্ন মন্দিরে ও পূজামণ্ডপে সন্ধ্যায় হয় আরতি প্রতিযোগিতা।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net