বাউল সাধক শাহ আব্দুল করিমের ১৫তম প্রয়াণ দিবস স্মরণে ‘দ্রোহকালে বাউল করিম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘চারণ’ সিলেট জেলার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিষয়ের আয়োজন করা হয়।
এতে সংগঠনের জেলার আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা সভাপতিত্ব ও সদস্য মাসুদ রানা সঞ্চালনা করেন।
আলোচনায় ছিলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, উদীচী জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, বাসদ জেলা সদস্যসচিব ও বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ জেলা আহ্বায়ক প্রণব জ্যোতি পাল।
দ্রোহকালে বাউল করিমে আলোচকরা বলেন, শাহ আব্দুল করিম শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মানবমুক্তির জন্য গান লিখেছেন। তিনি যেমন গ্রামীণ মানুষের জীবনসংগ্রাম তুলে ধরেছেন গানে তেমনি সমাজের কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, শোষণের বিরুদ্ধে গান রচনা করেছেন। যা আজও লড়াই সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগায়।
আলোচকরা আরও বলেন, বাউল সাধক আব্দুল করিমের জীবদ্দশায় মৌলবাদীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন বার বার কিন্তু তিনি গান লেখা বন্ধ করেননি। তিনি মানুষের মুক্তির কথা, সমাজের অসংগতির কথা তুলে ধরেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
বক্তরা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। কিন্তু এখন সবক্ষেত্রে যে বৈষম্য তা দূর করতে, বিজ্ঞানভিত্তিক শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা জরুরি।
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সব প্রগতিশীল চিন্তার মানুষদের যুক্ত করে সেই লড়াই জারি রাখতে চায়। এই ক্ষেত্রে বাউল আব্দুল করিম হলেন তাদের অনুপ্রেরণা।
আলোচনা সভা শেষে প্রথমে চারণের শিল্পীরা আব্দুল করিমের গান পরিবেশন করেন।
পরে বাউল সূর্যলালসহ অতিথি শিল্পীরাও করিমের গান পরিবেশন করেন।