ওসি মঈনকে ছেড়ে দেওয়ায় এসএমপি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান

দৈনিক নয়াদিগন্ত ও জালালাবাদের রিপোর্টার এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার ৬নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি কোতয়ালি থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন শিপনকে সোমবার আটকের পরও ছেড়ে দেওয়ায় সিলেটের সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ডাকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব, ইমজা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃৃবৃন্দসহ সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক ও নিবন্ধিত অনলাইনের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

এই হত্যা মামলার সব আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ও সাবেক ওসি মঈনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার কার্যালয়ের সামনে দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে পুলিশের গুলিতে সিলেটে সাংবাদিক নিহতের ঘটনা এই প্রথম। এই ঘটনায় আমরা হতভম্ব, বিস্মিত ও গভীর শোকাহত এবং সেই সাথে ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় সাংবাদিক তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৯ জুলাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো অগ্রগতি নেই। উপরন্তু এ মামলার ৬নম্বর আসামি, ঘটনার সময়ের সিলেট কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন শিপনকে তার বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে রোববার দিবাগত রাতে বিজিবি আটক করেছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও পরদিন (সোমবার) দুপুরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এতে আমরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছি। পাশাপশি তুরাব হত্যাকাণ্ডে জড়িত এসএমপি’র সাবেক কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখ ও গোলাম কাওসার দস্তগীরসহ সকল আসামিকে অবিলম্বে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে সিলেটের সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হবেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বক্তারা সাবেক স্বৈরাচার সরকারের করা ‍’ওয়ারেন্ট কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার লিখিত অনুমতি ছাড়া সরকারি অভিযুক্ত কর্মচারীকে গ্রেফতার করা যাবে না’ এমন কালো আইন বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তুরাব হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, স্বরাষ্ট্র ও উপদেষ্টা আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন