জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ ১২ বছর বয়সী কিশোর আরাফাত হুসাইন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ মারা যায় আরাফাত।
সোমবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আরাফাতের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরা ১৪নং সেক্টর কবরস্থান তাকে দাফন করা হবে।
আরাফাতের ভাই হাসান আলী জানান, গত ৫ আগস্ট উত্তরা আজমপুর থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয় আরাফাত। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শুরুতে স্থানীয় দুটি বেসরকারি হাসপাতালে পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে সেখানকার চিকিৎসকেরা সিএমএইচ-ভর্তির সুপারিশ করেন। সেখানেই সাড়ে চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিল আরাফাত। রোববার রাতে ম্যাসিভ হার্টঅ্যাটাক হলে মারা যায় এই শিক্ষার্থী।
হাসান আলী জানান, এই মুহূর্তে আরাফাতকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নেওয়া হবে শহীদ মিনারে।
জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ন কবীর হিমু জানান, আরাফাত শরীরের একাধিক গুলি লেগেছিল। গুরুতর আহত আরাফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর মধ্যেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো এই কিশোর। রাজধানীর উত্তরা জামিয়া রওজাতুল উলুম মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী আরাফাত।