মাইলস্টোল স্কুল থেকে দুই সন্তানকে আনতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া দেখেন পিন্টু নামের এক অভিভাবক। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, ‘প্রথমে দেখলাম একটা ফাইটার বিমান টালমাটালভাবেন এসে রাস্তার ওই পাশে যে হায়দার আলী বিল্ডিংটা, ওই খানে পড়ল। আসার পর একটা শব্দ হয় না, তারপর একটা বিকট শব্দ, আগুনের ফুলকি একটা বের হইলো তখন চোখে কিছু দেখতেছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘দেখছি শুধু আগুন এবং এই আগুনটা দেখে আমি নিজেও একটু হাইফার হয়ে গেছি কারণ আমার ছোট ছেলেটার যেই বিল্ডিংটায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তার রাস্তার এই পাশের বিল্ডিংয়েই আমার ছোট ছেলেটার ক্লাসরুম। আমি দৌড়ে গিয়ে আমার বাচ্চাটাকে নিছি। নেওয়ার পর বড় মেয়ে আমার, মাঠের ওই পাশের বিল্ডিংয়ে তার ক্লাস। বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে মেয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছিলাম, কিন্তু গিয়ে দেখি ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্য আমার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ’
আপনার সন্তানরা নিরাপদে আছে তো?- এমন প্রশ্নের জবাবে পিন্টু নামের এ অভিভাবক বলেন, ‘জ্বি, জ্বি, আল্লাহর রহমতে নিরাপদে আছে।’
উল্লেখ্য, আজ বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণ পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের এক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
এ ঘটনায় মোট কতজন হতাহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। দগ্ধ অন্তত ৬০ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ আরও নানা হাসপাতালে অনেককেই ভর্তি করা হয়েছে।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net