ঐতিহাসিক ৫ই আগস্টের মহান বিপ্লব থেকে কি শিক্ষা নেওয়া যাবে

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্তাব্যক্তিদের মাথার উপর যদি বঙ্গবন্ধুর ছবি এখনও রাখতে হয়, তাহলে ৫ই আগস্ট দেশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি বা মূরাল ভাঙ্গার প্রয়োজনীতা কতটুকু সমর্থন যোগ্য ছিল? জুলাইয়ের ঐতিহাসিক ছাত্র জনতার মহান বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসীর চরম ঘৃনা শেখ হাসিনার মতো তার পিতার উপরও বর্ষিত হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপনা বা পাবলিক প্লেইস, দেশের মুদ্রা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি মুরাল সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া এটা বিপ্লবের আকাঙ্খার অংশ বিশেষ। আবার রাষ্ট্রের বিভিন্ন অফিস দপ্তরে গুরুত্বের সাথে মাথার উপর শেখ মুজিবকে রাখবেন, এটা তো দেশের মানুষ স্বাভাবিক ভাবে দেখছে না।
শেখ হাসিনা তার পিতাকে অতি উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ৫ই আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের গলায় জুতার মালা পরিয়েছে, অনেকে ফাঁসি দিয়ে অনেক উচ্চতা থেকে টেনে ধুলোয় মিশেয়ে দিয়েছে। বিগত দিনে শেখ হাসিনা তার বাবার মুরাল নির্মাণ করতে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করেছেন, যা রাষ্ট্রের অর্থনীতির অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয় ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশালত্বকে শেখ হাসিনা নিজেই ভোটাধিকার মানবাধিকার ধ্বংস সহ হাজারো বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন।
৫ই আগস্ট থেকে শিক্ষা নিন, নেতারা যদি দেশপ্রেমিক এবং মার্জিত না হন এক সময় কাউয়া, বিচারপতি কালো মানিক, দরবেশের মতো ধিকৃত হবেন। দেশকে ভালোবাসুন, দেশের পক্ষে কথা বলুন।
ভবিষ্যতে বিশেষ কোন ব্যক্তিকে অতি উচ্চতায় তুলতে মুরাল নির্মাণ করে জাতিয় অর্থনীতিকে ধ্বংস থেকে বিরত থাকুন। নতুন বাংলাদেশটা হউক ১৮কোটি মানুষের জন্য নিরাপদ।

মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান

উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদ ছাতক সুনামগঞ্জ।
যুগ্ম সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি।

Visited 1 times, 1 visit(s) today
শেয়ার করুন