তাসলিমা খানম বীথি :
পরিবারের সুখের জন্য 29 বছর আগে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিলেন মকলেস মিয়া। বছরে পর বছর বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে ভাইয়েরা বাড়ি করল গাড়ি কিনলো। সংসারের অভাব যেনো দুরই হয় না। সংসারের খরচ টাকা দিয়েও নিজের বিয়ে করা স্ত্রীকে হাত খরচ দিতেন আলাদাভাবে। যাতে ভালোবাসার নারী যেনো কোন অভাব থাকে না। দেশে বাড়িতে সবাই সাচ্ছন্ধ্য থাকলেও তাকে প্রতিবারই জানায় যে টাকা পাঠায় সেটিতে তেমন চলে না।
2. জীবন যৌবন পার করলেন বিদেশের মাটিতে। একদিন ঠিক করলেন দেশে আসবেন। বাকিজীবনটা পরিবারের সাথে কাটাবেন। 29 বছর পর দেশে ফিরে দেখেন তার পাঠানো টাকা দিয়ে ভাইবোনরা নিজেদের বাড়িগাড়ি করছে। নিজের স্ত্রী দেওয়া টাকা সব বাপের বাড়িতে জমিয়েছে। যখন মকলেস মিয়া সবকিছু হিসাব চাইলো আর তখনই বাদলো যত সমস্যা। ভাইয়েরা সবকিছু থেকে তাকে বঞ্চিত করল। নিজের বউ সন্তানরা তাকে রেখে চলে গেলো। প্রবাস থেকে ফিরে নিজের ঘামঝরা টাকাসম্পক বদলে পেলো নয়ন ভরা জল। সেই জলে বুক ভাসলো প্রবাসী মকলেস মিয়া।
নোট-যারা প্রবাসে আছেন অবশ্যই পরিবারকে সহযোগিতা করবেন তবে নিজের জীবনের কথা একবার হলেও ভাবতে হবে!