মুহাম্মদ নূরুল হক সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অবিস্মরণীয় নাম


মুহাম্মদ নূরুল হক ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের স্বপ্নদ্রষ্টা, অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশিষ্ট সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। গ্রন্থাগার আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি বিশ্বাস করতেন সাহিত্য হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। তাই তিনি মুসলিম সমাজে আত্মপরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ জাগরণের চেষ্টা করেছেন। মুসলিম যুবসমাজকে সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিকে উৎসাহিত করতেই কেমুসাস প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ও মুহাম্মদ নূরুল হকের অনন্য অবদান রয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত সাহিত্যপত্রিকা আল ইসলাহ সিলেটসহ এই উপমহাদেশের বাংলা ভাষাভাষী জনসাধারণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মুহাম্মদ নূরুল হক প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ শুধুমাত্র একটি সাহিত্য সংগঠনই নয় বরং একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নাম।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল হকের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও কেমুসাসের ১২৪৫তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে বক্তারা এসব কথা বলেন।
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য কবি কামাল তৈয়ব অ্যাডভোকেট। মুহাম্মদ নূরুল হককে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক, ছড়াকার হুসাইন হামিদ। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংসদের কার্যকরী পরিষদের সাবেক সদস্য কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী ও কবি মাহফুজ জোহা।
সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আদীল আনোয়ার। আসরে লেখা পাঠে অংশনেন ও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ আবুযর মাহতাবী, কামাল আহমদ, জুবের আহমদ সার্জন, আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, সুফি আকবর, আদীল আনোয়ার, আতাউর রহমান বঙ্গী, কবির আশরাফ, মো. উমর ফারুক, মকসুদ আহমদ লাল, হাছিনা বেগম প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও লিলু মিয়া। আসরের সেরালেখক মনোনীত হন আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না। আসর শেষে আগস্ট মাসের চারজন সেরালেখকের হাতে শংসাপত্রসহ পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

শেয়ার করুন