
তাসলিমা খানম বীথি :
নিজের ভাই নেই বলে একসময় খুব মন খারাপ হতো এই ভেবে যে ভাই নেই ভাবীও নেই। কিন্তু যবে থেকে কর্মজীবন শুরু সেই দিন থেকে সিলেট সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড মাসমিডিয়া সিফডিয়া পরিবারের এক সাথে তিন ভাবী পেয়ে যাই।
সাংবাদিক গল্পকার সেলিম আউয়াল (বস) এর স্ত্রী আফিয়া সুলতানা (বড় ভাবী ), 24 সালে হঠাৎ করে হসপিটালের জব চলে যাওয়া কথা শুনে ভাবী অনেক টেনশন করেন বীথির জব না থাকলে কী করে চলবে। দেখা হতে ভাবী কথা শুনে মনে হলো তিনি সত্যি কতটা ভালোবাসেন।
বর্তমানে কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সল স্ত্রী ফাহমিদা নাজনীন মেঝ ভাবী. যখন বাসা যেতাম নাস্তা দিতেন পেট ভরে যাতে খাই তাই পাশে বসে থাকতেন। সাংবাদিক আব্দুল মুহিত দিদার স্ত্রী ডলি সিকদার সেঝ ভাবী. চা পছন্দ করি তাই বড় কাপ দিয়ে চা দিতেন।
তারপর থেকে এক এক করে অনেক ভাবীদের সাথে পরিচয় হলোও তাদের মধ্যে অন্যতম ভ্রমনকাহিনি লেখক মোয়াজ আফসার ভাইয়ের স্ত্রী আপনঘরের সত্ত্বাধিকারি ফাহমিদা চৌধুরী, দেখা হলেই পাশে বসে আমার হাতটি শক্ত করে ধরে বলেন, বীথি কখনো হতাশ হবে না। বিয়ে জন্য সবাই চেষ্টা করছেন। দেরি হলেও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। ভাবীর কথা মনে শীতল হাওয়া বয়ে যায়।
.কবি সালেহ আহমদ খসরু ভাই স্ত্রী রোমানা আহমদ ভাবী , তাদের বাসা গেলেই নিজের হাতে মজাদার নাস্তা বানিয়ে যত্ন করে খাওয়ান।
সাংবাদিক আব্দুল কাদের তাপাদার ভাই স্ত্রী কবি ইসরাক জাহান জেলী যার সাথে অনেক স্মৃতি। সাহিত্য পাড়া যিনি আমার সুখদুখ সাথী। যে কোন বিষয় মন খোলে কথা বলা যায়। আমার জীবনে ভাই ও ভাবীদের ভালোবাসা অভাব কখন যে হাওয়া হয়ে গেলো টেরই পাইনি। এমন মায়ের মত ভাবীরা থাকলে আর ভাবী দরকার হয় না। তাদের ভালোবাসা স্নেহ মুগ্ধ হই। দূরে কিংবা কাছে ভাবীদের জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। আমি জানি আমাকে যারা হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে তারা আমার মঙ্গল কামনা করেন। আমিও তাদের ভালোবাসি।