এ জেড এম শামসুল আলম ছিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ

পেশায় সরকারি চাকরিজীবী হলেও এ জেড এম শামসুল আলমের ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা, গবেষণা ও লেখালেখি ছিল নেশা। তাঁর লেখা সহজ, সরল ও সুখপাঠ্য। তাঁর লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- তত্ত্বকথা অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল করে বলার দক্ষতা। তিনি বাংলা সাহিত্যে গঠনমূলক, চিন্তাশীল, ইসলামী ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ভাবধারায় গ্রন্থ রচনা করে সমাদৃত হয়েছেন। আধুনিক সময়ের প্রেক্ষাপটে ইসলামের নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে তিনি লিখেছেন শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। তাঁর প্রতিটি রচনা সময়োপযোগী ও চিন্তাশীল সমাজ বিনির্মাণে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত।

বিশিষ্ট লেখক-গবেষক ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব এ জেড এম শামসুল আলম স্মরণে আলোচনা সভা ও কেমুসাসের ১২৪১তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।

০৭ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংসদের সহসভাপতি রুহুল ফারুক, সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল ও সংসদের কোষাধ্যক্ষ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি কামাল আহমদ। এ জেড এম শামসুল আলমকে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আব্দুস সামাদ। আসরে স্বরচিত লেখা পাঠে অংশনেন ও উপস্থিত ছিলেন কবি মাহফুজ জোহা, মোয়াজ আফসার, কামাল আহমদ, এ বি এম হাসান চৌধুরী, আতাউর রহমান বঙ্গী, জুবের আহমদ সার্জন, কবির আশরাফ, সুফি আকবর, মির্জা আব্দুল কাদির জিলানী, নাঈমুল ইসলাম গুলজার, সালমা আলী প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও মো. বাহাউদ্দিন বাহর। সেরা লেখক মনোনীত হন কবির আশরাফ।

শেয়ার করুন