আধুনিক বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ একজন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি নতুন ধারার জনক। তাঁর নান্দনিক লেখা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে একটি স্বতন্ত্র ধারার বিকাশ করেছেন তিনি। তাঁর লেখা উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, চলচ্চিত্রগুলো ছুঁয়ে যায় প্রত্যেক সাধারণ মানুষের মন। তাঁর লেখায় সাধারণ জীবনের ছোট ছোট ঘটনা, সংলাপ এবং চরিত্র চিত্রণে এক বিশেষ নান্দনিকতা প্রকাশ পায়, যা পাঠককে আকৃষ্ট করে। তাঁর ভাষা সহজ ও সাবলীল। এছাড়া, তাঁর রচনায় মনস্তাত্ত্বিক দিক, হাস্যরস এবং বিষাদমাখা অনুভূতিও নান্দনিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও কেমুসাসের ১২৩৯তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
আজ (২৪ জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেমুসাসের লাইব্রেরি সম্পাদক অধ্যক্ষ কবি নাজমুল আনসারী। প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন কবি ও সাহিত্য সমালোচক মামুন সুলতান। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি মাহফুজ জোহা, ছড়াকার ও নাট্যাভিনেতা মাহমুদ পারভেজ, কবি লিপি খান, কবি সুফি আকবর ও কবি ইফতেখার শামীম।
সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ছড়াকার হুসাইন হামিদ। আসরে লেখা পাঠে অংশনেন আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, সাজন আহমদ সাজু, কবির আশরাফ, সৈয়দ আছলাম হোসেন, এস এম ফাহিম, সোলেমান রাসেল, জুবের আহমদ সার্জন, নাসিভ মম, হুসাইন হামিদ, এ.বি. এম হাসান চৌধুরী, মো. দিদার আহমদ, জোবায়দা বেগম আঁখি, কামাল আহমদ, মো. আবু সুফিয়ান, আব্দুল্লাহ, মো. লিলু মিয়া প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন সাজিদুর রহমান, মো. বাহাউদ্দিন বাহার ও কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল। সেরালেখক মনোনীত হন এ বি এম হাসান চৌধুরী।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net