
ইশরাক জাহান জেলী :
আজ কবি লায়লা রাগিব এর ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।”ঠোঁটের ভাষায় কবিতা লিখুন “এই অনবদ্য শ্লোগান নিয়ে সাহিত্যাকাশে আলোড়ন সৃষ্টিকারি এক সাহসী কন্ঠস্বর।
যাকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ বলেন –
‘লায়লার মত হৃদয় নিয়ে খুব বেশি নারী বাংলাদেশে জন্মাননি।তার রচনার মধ্যে তিনি থাকবেন অসমাপ্তের মত এ কথা মন মানতে চায় না, এ ধরনের কবিরা কেন যে পৃথিবীতে আসেন তা এক রহস্যময় বিষয় বটে…. মৃত্যু একজন প্রকৃত কবিকে শেষ পর্যন্ত নিঃশেষে মুছে ফেলার মত ক্ষমতাশালী নয়’।
ক্ষণজন্মা এই বিদুষী নারীর হাত ধরে ১২জন লেখিকার উপস্হিতিতে ১৯৮২ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় সিলেট লেখিকা সংঘের।
খুব বেশিদিন সময় দিতে না পারলেও তিনি অল্প সময়ে বাংলা সাহিত্যে সৃজনশীল ধারায় শৈল্পিক
যে সকল সৃষ্টি রেখে গেছেন তা আজও চির অম্লান।
## ১৯৭৮ খ্রীস্টাব্দে মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্য গ্রন্থ “কিংখাবে মোড়া” (কবিতা)পরবর্তীতে বইটি আরো দুটি সংস্করণ বের হয়। .
## ১৯৮০ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত হয় “বৃষ্টি আমার জন্মবধি দুঃখ মুছে নাও” ( কবিতা)।
## নীড়াঙ্গনে পাখী( প্রবন্ধ)
## অসমাপ্ত ডায়েরী (গল্প)।
তিনি সিলেটের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সফল সংগঠক, কবি রাগীব হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিণী। দু সন্তানের জননী কবি লায়লা রাগীব ১৯৮৬ খ্রীস্টাব্দের ৯ জুলাই ইন্তেকাল করেন।
সিলেট লেখিকা সংঘের পক্ষ থেকে
আমাদের এই প্রিয় কবি ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়লা রাগিব এর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।ওপারে ভালো থাকুন,কবির আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।