বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক সোলায়মান আহসান বলেছেন, মুকুল চৌধুরী ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি। তিনি বাস্তববাদীতায় বিশ্বাসী একজন স্বাধীনচেতা কবি হিসেবে নীরবে সাহিত্যচর্চা করে গেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মুকুল চৌধুরী নিজস্ব যোগ্যতায় সাহিত্য জগতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন।
এ দেশে একাত্তরের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মতো শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যখন নৈরাজ্য হানা দিয়ে আমাদের জাতিসত্তা ও আত্মপরিচয়, নিজস্বতা তছনছ করে দিচ্ছিল তখন এর বিপরীতে কবি আফজাল চৌধুরী ইতিবাচক তৎপরতা ও সৃজনশীলতা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং অনেক কবি-সাহিত্যিক নিয়ে কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে মুকুল চৌধুরী অন্যতম। সত্তর দশকে চট্টগ্রাম, আশির দশকে সিলেটে কবি আফজাল চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘স্পার্ক জেনারেশন’ ও ‘সংলাপ সাহিত্য-সংস্কৃতি ফ্রন্টে’র মাধ্যমে সাহিত্য আসর জমে ওঠে। কবি মুকুল চৌধুরী সংলাপের তৎপরতার সাথে শুধু সম্পৃক্ত ছিলেন না, মূল কর্মপরিকল্পের ধারায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন। কবি আল মাহমুদের মতে যে চার-পাঁচজন কবিকে আমি আশির দশকের অন্যতম কবি বলে মনে করি মুকুল চৌধুরী তাদেরই একজন।
তিনি আল্লাহর বিধান ইসলামের বাস্তব অনুসারী। তিনি ইসলাম ও মুসলিমের বিজয় দেখতে প্রত্যাশী ছিলেন।
কবি সোলায়মান আহসান ৩ মে শনিবার সন্ধ্যায়
কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও কেমুসাসের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক প্রাবন্ধিক জাহেদুর রহমান চৌধুরী।
স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ শাহ নজরুল ইসলাম ও কেমুসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক কবি আমিনুল ইসলাম কাজল, কেমুসাসের সহসভাপতি প্রাবন্ধিক রুহুল ফারুক, কবি বাছিত ইবনে হাবীব, কবি নাজমুল আনসারী, কবি আব্দুল মুকিত অপি অ্যাডভোকেট,
সহকারী অধ্যাপক এম. এ আজিজ, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, দি নিউ নেশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান শফিক আহমদ শফি, অ্যাডভোকেট জুনেদ আহমদ, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, কবি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মো.কামরুজ্জান, কবি ফজলুর রহমান জুয়েল, গল্পকার তাসলিমা খানম বীথি ও কানিজ আমেনা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি আফজাল চৌধুরীর পুত্র জুন্নুরাইন চৌধুরী ও কবি মুকুল চৌধুরীর পুত্র মাবরুরুল করীম চৌধুরী সায়েম।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী ওমর ফারুক। মোনাজাত পরিচালনা করেন কবি মুহাম্মদ ফয়জুল হক। বিজ্ঞপ্তি
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net