তাসলিমা খানম বীথি: আমাদের শহরে বৃহস্পতিবার আসবে কিন্তু কবি মুকুল চৌধুরী আর আসবে না। চলে গেলেন সিলেটে সাহিত্য পাড়া প্রবীন লেখক কবি মুকুল ভাই। লেখকদের কখনো মৃত্যু হয় না। কেমুসাসে সাহিত্য আসরে আমাদের তরুণ লেখকদের লেখা নিয়ে তিনি আলোচনা উৎসাহিত করতেন। মুকুল ভাইও আছেন তার লেখায় কবিতায়। শেষবারে মত মুকুল ভাই আসবেন কবিতাবিহিন নিরবে আমাদের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটে কবি মুকুল চৌধুরী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এদিকে কবি মুকুল চৌধুরীর মৃত্যুতে সিলেটের সাহিত্যপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে তাকে শেষবারের মত আনা হবে। লেখকরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। তার জানাযার নামাজ বাদ জোহর নয়া সড়ক মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবি মুকুল চৌধুরী ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২২ আগস্ট সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালোপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি বিশ্বাসের স্বপক্ষে একজন শক্তিমান কবি ও লেখক।
গত শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে লিখে গেছেন নিরলসভাবে। কবিতার পাশাপাশি গদ্যসাহিত্যেও তিনি শক্তিমান, ঝরঝরে, বুদ্ধিদীপ্ত। প্রবন্ধ, গবেষণা এবং কিশোর-রচনা ও সম্পাদনায় তার রয়েছে স্বচ্ছন্দ ও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ বিচরণ।
মুকুল চৌধুরী তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ বুক অব দি ইয়ার এচিভম্যান্ট এওয়ার্ড, বিএনএসএ, ইংল্যান্ড (১৯৯৬); সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ, ঢাকা (১৯৯৭); রাগীব রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০০৬); জালালাবাদ সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০১২) এবং সর্বশেষ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন। কবি মুকুল চৌধুরীর সর্বশেষ কবিতাগ্রন্থ ‘মৃত্যুর চিত্রকল্প’-সহ প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৯টি। ‘মাতৃত্বের সংকট ও অন্যান্য’ নামে আরেকটি প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net