জাবেদ আহমদ :
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম চারদিন ছুটিতে সিলেট ছিলাম। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংক সাহিত্যমোদীদের সংগঠন 'অধিকোষ' আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী, মোঃ কবির আহাম্মদ পিএইচডি, বিআইএফইউ হেড (ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদা) এএফএম শাহীনুল ইসলাম ও গভর্নর মহোদয়ের উপদেষ্টা মোঃ আহসান উল্লাহ প্রমুখ। অধিকোষ এর সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক লিজা ফাহমিদা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদাসহ অধিকোষ সদস্যরাসহ অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সিলেট অবস্থান করায় আমি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি। সিলেটে অবস্থান করে ১ ফেব্রুয়ারি হতে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০টা অবধি রাজা ম্যানশনের গ্রাফিক্স ইউনিভার্সালে থেকে চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি বইয়ের লেখা ছাপাখানার মেশিনে পাঠানোর জন্য বিরামহীন কাজ করি। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ লুৎফুর রহমান আমার দৈনিক সিলেটের ডাক এর আশির দশকের সহকর্মী, সিলেটের প্রথমদিকের একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তাঁর তরুণ সহকারী শরীফ আহমদ ফাহিমও অতীব দক্ষ। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও প্রাক্তন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়) ইনাম আহমদ চৌধুরী ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসরের পর বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হন, ২০১৯ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সিলেট -১ আসন থেকে তাঁকে প্রথমে মনোনয়ন দিয়ে পরে প্রার্থী পরিবর্তন করলে তিনি দল পরিবর্তন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার প্রাক্তন সভাপতি ইনাম আহমদ চৌধুরী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বারকুট গ্রামের এক আলোকিত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা গিয়াস উদ্দিন আহমদ ছিলেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার। একই দিনে (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সিলেটের তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ের রাজনীতি করা একেএম তারেক কালামও আজ মারা যান। টুকেরবাজার ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার তারেক কালাম সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার সন্ধ্যায় সাইক্লোন সিলেট এর ৩০১তম সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আমার সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন টরেন্টোর সাবেক সভাপতি ও গোলাপগঞ্জ ফাউন্ডেশন অব টরেন্টো কানাডার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহজাহান চৌধুরী, আমিরুল কোরেশী পাবেল ও ইশরাক জাহান জেলি। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাহিত্যমোদীদের সংগঠন 'অধিকোষ' এর বইমেলায় আমার 'ইউরোপের সাত দেশে বাইশ দিন' বই দেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আমির হোসেন এদিন মেলা থেকে আমার এক কপি বই কিনেন। অধিকোষের সহ-সভাপতি তাসনীম ফাতেমা আমার উপস্থিতিতে ক্রেতার হাতে বইটি তুলে দেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অধিকোষ বইমেলার শেষদিনেও বেশ কয়েকবার মেলায় উপস্থিত থাকি। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি লিঃ ঢাকার সম্পাদক মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন এদিন মেলা থেকে বেশ কয়েকটি বই কিনেন। বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন খাঁন সমাপনী দিন বিকালে বইমেলা পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ঢাকার সভাপতি একেএম মাসুম বিল্লাহও শেষ দিনে মেলায় আসেন। শেষদিনে মেলায় অধিকোষ সহ-সভাপতি তাসনীম ফাতেমা ও হাসিনা মমতাজ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইরুল ইসলাম, মোঃ আবুল হাসেমসহ অনেকের সাথে দেখা হয়। আমার নতুন বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' এখনও হাতে না আসায় অধিকোষ বইমেলায় দেয়া যায়নি। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-২ এর ইন হাউস ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেই। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ছৈয়দ আহমদ। পরিচালক মোঃ দেওয়ান সিরাজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আব্দুল জলিল -৯, মোঃ জাবেদ আহমদ, বিমল চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকার বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির আয়োজনে নৌবিহারে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের মোহনপুর যাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মোঃ দেওয়ান সিরাজ নৌবিহার আয়োজন কমিটির আহবায়ক ছিলেন। তাঁর আমন্ত্রণে ১৫০০ টাকা ফি দিয়ে নৌবিহারের টিকেট কাটি। নির্বাহী পরিচালক ছৈয়দ আহমদ সস্ত্রীক, পরিচালক এহসানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচালক মুহম্মদ নুরুল আমিন, মোঃ ছাইফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল জলিল-৯ ও নৌবিহারের টিকেট কাটেন। সকালে মতিঝিল থেকে সদরঘাট যাবার সময় ঢাকা কোওপারেটিভ এর সম্পাদক মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন ফোন দিলে, জাহাজে দেখা হবে বলে জানাই। জাহাজে গিয়ে দেখা হয় মোঃ শাহ আলম ও তাঁর পরিবারের সাথে। মোঃ আবুল কালাম আজাদ, লায়ন মোঃ আবুল হাশেম, আবু নাসের মোঃ রফিক, সাহেদুল হাসান, ই,ইউ, মান্না ভুইয়া, মোহাম্মদ উজ্জ্বল মিয়াসহ পরিচিত অনেকের সাথে দেখা হয়। নির্বাহী পরিচালক ছৈয়দ আহমদ স্যারের জন্য বরাদ্দকৃত ভিআইপি কেবিনে আমদের বেশিরভাগ সময় কাটে। সদরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় এমভি মিরাজ -৭ জাহাজ ছাড়ে, দুপুর ১টায় চাঁদপুর উত্তর মতলব মোহনপুর ঘাটে পৌঁছে। মোহনপুর লঞ্চঘাট জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে পাশ্ববর্তী মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের ভিতর ঘুরে দেখি। নির্বাহী পরিচালক ছৈয়দ আহমদ স্যারের সৌজন্যে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট থেকে চাঁদপুরের ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়া হলো। আমাদের সাথে জাহাজে আসা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এহেসানুল হক চৌধুরী সড়কপথে চট্টগ্রাম চলে যান।
আজ (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার) দুপুরে কমলাপুর উত্তর মুগদা ওয়াসা রোড মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় (পাগল চাঁদ রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকর্মী বন্ধু মোঃ মুজিবুর রহমান এর বাসায় দাওয়াত খেলাম। সাথে ছিল আরেক সহকর্মী বন্ধু মোঃ ইকবাল হাসান ও নবিবুর রহমান। টেবিল ভর্তি খাবারের আয়োজন ছিল, গল্প আড্ডায় চারজন সহকর্মী বন্ধুর বেসামাল খাওয়া দাওয়া হলো। ১৯৯০ সালে বন্ধু মুজিবুর রহমান মতিঝিল অফিসে যোগদান করে, সেসময় অনেকবার তার মেসে থেকেছি। আসরের নামাজ হযরত আবু বকর (রা:) জামে মসজিদে পড়ে রিকশা চড়ে মুগদা রেলওয়ে ওভারব্রিজে আসি। ওভারব্রিজ পাড়ি দিয়ে উত্তর কমলাপুর শহরতলী প্ল্যাটফর্ম দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় আর কে মিশন রোড অফিসার্স ডরমিটরিতে ফিরি। সন্ধ্যায় শান্তিনগর হোয়াইট রোজ এপার্টমেন্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক একেএম ফজলুল হক এর বাসায় যাই। অতীব মেধাবী সেন্ট্রাল ব্যাংকার একেএম ফজলুল হক দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি অফিসার পদে যোগদান করেছিলেন। আমি ও ইকবাল হাসান দীর্ঘ তিন ঘণ্টার অধিক সময় নানান বিষয়ে আলোচনা করি। আমরা তিনজন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে দীর্ঘদিন একসাথে অফিসের ও হলুদ দলের সাংগঠনিক কাজ করি। এখানে বসে মোবাইলে কথা বলি সিলেট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক সুব্রত তালুকদার এর সাথে। চা নাস্তার পর রাতের খাবার খেয়ে রাত ১০ টায় বিদায় নেই। শান্তিনগর সড়কে দেখা হয় এসএসসি চুরাশিয়ান বন্ধু বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী নুরুল আলম এর সাথে। সে আমাদের তাঁর গাড়িতে করে মতিঝিল পৌঁছে দেয়।
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সিলেটের কৃতি সন্তান ইনাম আহমদ চৌধুরী স্মরণে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অংশ নেই। জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি ইনাম আহমদ চৌধুরী স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে বিশিষ্টজনেরা বলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ইনাম আহমদ চৌধুরী নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদে তিনি নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। তাঁর পিতা গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী যশোরের জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগের কমিশনার ছিলেন। ইনাম আহমদ চৌধুরীও যশোরের ডিসি ছিলেন। তাঁরা পিতা পুত্র জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি ছিলেন। সরকারি চাকুরিতে তাঁর সততা ও ন্যায়পরায়নতার স্মৃতিচারণ করেন সুধী জনেরা।
জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সিএম কয়েস সামী'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কারওয়ানবাজার জালালাবাদ এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আসামের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর পুত্র ইনাম চৌধুরীর সহপাঠী ও খালাতো ভাই জুনেদ আহমদ চৌধুরী, মরহুম ইনাম আহমদ চৌধুরীর সহোদর প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার প্রাক্তন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সি,এম দেলোয়ার রানা, সাবেক সচিব ও হাইকমিশনার জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার প্রাক্তন সভাপতি এ,এইচ মোফাজ্জল করিম, বিশিষ্ট কবি মমতাজ জাহান করিম, অতিরিক্ত সচিব জাফর রাজা চৌধুরী, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, মরহুম ইনাম আহমদ চৌধুরীর পুত্র নাদিম আহমদ চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে সিএম কয়েস সামী বলেন ইনাম আহমদ চৌধুরী সিলেটের এক বনেদি পরিবারের লোক ছিলেন। তাঁর পিতা গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী উপমহাদেশের একজন সেরা সিভিল সার্ভেন্ট ছিলেন। ইনাম আহমদ চৌধুরীর মাতা একজন রত্নগর্ভা মা। বক্তারা ইনাম আহমদ চৌধুরীর লেখালেখি ও আবৃত্তির কথা স্মরণ করেন। সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব এহেসান এলাহী। সভা শেষে জালালাবাদ ভবনে মাগরিবের নামাজ আদায় করে কারওয়ান বাজার থেকে ফল ও সবজি কিনে মেট্রোরেল চড়ে মতিঝিল ফিরে আসি। অনুষ্ঠানের সচিত্র নিউজ দৈনিক সিলেটের ডাকে পাঠাই, পরদিন তা ছাপাও হয়।
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-১ এর পরিচালক মো: আলাউদ্দিন হোসেন ও নির্বাহী পরিচালক ছৈয়দ আহমদ স্যারের কক্ষে দুটি পৃথক সভায় অংশ নেই। এদিন একটি অফিস অর্ডারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে শেষ বিকেল পর্যন্ত নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নর স্যারের চেম্বারে একাধিকবার গমন করতে হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আমার দ্বিতীয় বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি'র ৫০ কপি হাতে আসে। সিলেট থেকে ছাপা হয়ে প্রেসের জটিলতায় দুদিন বিলম্বে (রবিবার এর স্থলে মঙ্গলবার) ঢাকায় পৌঁছে। বাংলাদেশ পার্সেলের ২/১ পুরানা পল্টনের অফিস থেকে অরনেটের সহকর্মী জীবন কে নিয়ে বইগুলো নিয়ে আসি। পল্টন থেকে ৮ নম্বর বাসে মতিঝিল আসতে বাসের সুপারভাইজার আরিফের সাথে পরিচয় হয়, তাঁর বাড়ি সিলেট নগরীর খাদিমপাড়ায়। সরকারি সফরে জাপান সফরে থাকায় মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ অফিসে নেই। শেষ বিকেলে (সাড়ে ৫টা) মাননীয় ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার মহোদয়ের হাতে বই তুলে দিয়ে চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি বিক্রি/বিতরণ শুরু করি। আজ থার্ড ফ্লোরে ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী, মো: কবির আহম্মদ পিএইচডি, বিএফআইইউ হেড (ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদায়) এএফএম শাহীনুল ইসলাম, গভর্নর মহোদয়ের এডভাইজার মো: আহসান উল্লাহ, নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) মো: এজাজুল ইসলাম, মো: ফোরকান হোসেন, নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, এস,এম আব্দুল হাকিম, দেব দুলাল রায় স্যারদের চেম্বারে গিয়ে বই প্রদান করি। পরে নির্বাহী পরিচালক (কারেন্সি অফিসার) মো: আমিনুল ইসলাম আকন্দ, পরিচালক মো: নিয়ামুল কবির, মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, মো: ইস্তেকমাল হোসেন, লিজা ফাহমিদা, বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকার সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, ঢাকা কোওপারেটিভের সম্পাদক মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো: জয়নাল আবেদীন, ডাইরেক্টর মোহাম্মদ উজ্জ্বল মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লাব ঢাকার সভাপতি মো: জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল বাহার সুজন, জিয়া পরিষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকার সিনিয়র সহ সভাপতি এম,ডি আবুল কালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের সিনিয়র নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে সমর্থনকারী মো: নজরুল ইসলাম কে বই প্রদান করি। অনেকেই লেখক সম্মানী প্রদান করেন। এসময় আমার সাথে অতিরিক্ত পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম, মো: সাইফুল আলম, মো: জহুরুল হক ও মো: ইকবাল হাসান সার্বক্ষণিক ছিলেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সহকর্মী অতিরিক্ত পরিচালক মো: সাইফুল আলম কে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া, রূপ রতন পাইন, একেএম এহসান, ছৈয়দ আহমদ, মো: আমির উদ্দিন, শেখ মো: জাহাঙ্গীর হোসেন স্যারদের সাথে দেখা করে আমার 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' বই প্রদান করি। লেখক সম্মানীও পাই।
আজ (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী স্মৃতি পরিষদের মহাসচিব এম,এ রকিব খান আমার অফিসে আসেন। তিনি ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র দেন। পরে আমরা উভয়ে পরস্পরকে বই উপহার দেই। বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরিতে বুক রিডিং প্রোগ্রামে অংশ নেই। শুরুর প্রাক্কালে বক্তব্য রাখেন লাইব্রেরির পরিচালক তাসনীম ফাতেমা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক মহিউদ্দিন আহমদ ও আঞ্জুমান আরা। রাতে ৮ নম্বর বাস চড়ে ইত্তেফাক মোড় থেকে শাহবাগ নেমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বইমেলায় যাই। নানান স্টল ঘুরে দেখি। ৩০৩ নম্বর পান্ডুলিপি প্রকাশন ও ৭১৯ নম্বর পাপড়ি প্রকাশনীর স্টলে ঢুকে মতবিনিময় করি। ৭১৯ নম্বর পাপড়ির বিক্রয় কর্মী রিসাত ও মায়মুনের কাছে ৫ কপি বই দেই। মেলায় নির্মাণ করা অস্থায়ী মসজিদে এশার নামাজ আদায় করে মেট্রোরেল চড়ে সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মতিঝিল পৌছি।
নগদ এর প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক জনাব মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার এর উপর ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকেলে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ দল ৩০ তলা ভবনের নীচে প্রতিবাদ সভা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ঢাকা দুপুরে মতিঝিল শাপলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি ও ৩০ তলা ভবনের নীচে প্রতিবাদ সভা করে। উভয় কর্মসূচিতে আমি অংশ নেই। বিকালের ট্রেনে সিলেট যাই।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকালে সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজার এ্যালায়েন্স প্রোপার্টিজের ভবনের তৃতীয় তলার ঢালাই কাজ পরিদর্শন করি। প্রোপার্টিজের পরিচালক সালাহ উদ্দিন চৌধুরী ও ঠিকাদার হানিফ মিয়ার সাথে দেখা ও কথা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় স্কলার্সহোম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রিয় স্বজন মোঃ আশরাফ হোসেন চৌধুরীর সুবিদবাজার ফাজিলচিস্তের বাসায় যাই। তাঁকে ২০২৫ সনের বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যালেন্ডার দেই। চা চক্রের সময় লেখালেখি আলোচনা হয়। তিনি আমাকে কবি শামসুর রহমানের 'কালের ধুলোয় লেখা' বইটি সংগ্রহ করে পড়ার পরামর্শ দেন। জুমার নামাজের পর বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কর্মরত প্রিয় ফারুক আহমদ এর বিয়েতে বৈরাতি কমিউনিটি সেন্টারে যাই। ফারুক এর পিতা মরহুম মোঃ ইসমাঈল আলী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক (ক্যাশ)ও আমাদের সহকর্মী ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আহমদ আলী, ডিজিএম(ক্যাশ) এম, আফসার উদ্দিন আহমদ,মোঃ আশরাফ হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আব্দুল হাফিজ, মোঃ আব্দুল হাদী, সহকর্মী মোঃ মঈন উদ্দিন, দেবাশিস তালুকদার, শুভংকর দেব চৌধুরী, আলিফ আল নাঈম ভুইয়া, রণজিত মালাকার, আজিজুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল মোতালেব, আলীনুর রহমান, সুবীর ধর, ফরহাদুর রহমান প্রমুখ।
বিকালে ছোট মেয়ে চৌধুরী সায়িমা হুমায়রা আহমদ কে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের হোস্টেল থেকে বাসায় নিয়ে আসি, ড্রাইভার সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকায় অনেকদিন পর নিজে ড্রাইভ করি। বাসায় ফেরার পথে লালবাজারে প্রিন্টিং প্রেস থেকে ১০১ কপি বই নিয়ে আসি। আজ শবেবরাতের রাতে আমাদের আত্মীয় পাশ্ববর্তী যতরপুর এলাকার জালালাবাদ গ্যাসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর মাতা ইন্তেকাল করেন। স্ত্রীকে নিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় তাঁদের বাসায় যাই।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছে আমার 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি'। লন্ডনের ব্রিকলেনে IFIC Money Exchange এর কর্মকর্তা সিলেটের প্রাক্তন বিশিষ্ট ব্যাংকার মোঃ জুয়েলুর রব চৌধুরী আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) লন্ডন ফিরে যাচ্ছেন। সিলেটের আম্বরখানা হাউজিং এস্টেটের বাসায় দেখা করে আমার নতুন বই উপহার দিলাম। তাঁর সাথে লন্ডনের বন্ধু আহমেদ শামীম, সাউদাম্পটনে নাতনি দেওয়ান তাসনীম আইজা চৌধুরীর জন্য দুটি বই বিলেতে যাচ্ছে। এসময় তাঁর দুই সহোদর মোঃ আজিজুর রব চৌধুরী ও মোঃ জিয়াউর রব চৌধুরীকেও বই উপহার দেই। জোহরের নামাজ শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে পড়ে এক স্বজনের জানাজায় অংশ নেই।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রকাশক পরিষদের তিনদিনের বইমেলা আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকালে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জনাব রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমি মঞ্চে উপবিষ্ট হয়ে বক্তব্য রাখি। প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর। প্রধান আলোচক ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ তাজ উদ্দিন। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সেলিম আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সালেহ আহমদ খসরু, কবি এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, সামিয়া বেগম চৌধুরী, প্রফেসর ফরিদ আহমদ, ড. তুতিউর রহমান, কবি ইশরাক জাহান জেলি, কবি সাজন আহমদ সাজু, নাহিদ আহমদ, বইমেলা আয়োজন কমিটির আহবায়ক মোঃ কামরুল আলম ও সদস্য সচিব লুৎফুর রহমান তোফায়েল, আব্দুল লতিফ, সুফি সুফিয়ান প্রমুখ।
বইমেলার উদ্বোধনি দিনে লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ তাজ উদ্দিন, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বদর, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, সিলেট মহানগর আদালতের এডিশনাল পিপি কবি এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, সাইক্লোন সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক কবি ইশরাত জাহান জেলির হাতে আমার 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' তুলে দেই। মেলায় পাপড়ির স্টলে আমার বই রয়েছে।
আজ সিলেটে ছিল রমজানের আবহ। নগরীর বিপনি বিতানগুলো বন্ধ ছিল, সড়ক ছিল ফাঁকা। ঘরে ঘরে মানুষ রোজা রাখেন, বিকালে জিলাপির দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভীড় ছিল। বইমেলা থেকে এসে বাসায় ইফতার করি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সিলেটে সকাল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোটরসাইকেলে ব্যস্ত সময় কাটে। বাসার নানাবিধ কাজের ফাঁকে আমার নতুন বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' প্রিয়জনের হাতে তুলে দিয়া অব্যাহত থাকে। ডিসি অফিস কোর্ট শেডে বন্ধু সুহৃদ আলী হায়দার, ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক তালতলা শাখার ম্যানেজার তানভীর চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আব্দুল হাফিজ, কবি, বাচিক শিল্পী যমুনা অয়েল কোম্পানির স্বতন্ত্র ডাইরেক্টর সালেহ আহমদ খসরু, চাচাতো ভাই মল্লিক চৌধুরী, চাচী জমজম খানম আহমদ, বড় ভাই সুহেদ আহমদ চৌধুরী, রয়্যাল শেফ চাইনিজ রেস্টুরেন্টের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম, উনদাল কিং কাবাব ও এ্যালায়েন্স প্রোপার্টিজের পার্টনারদের জন্য বই দেয়া হয়। কানাডার টরেন্টো জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ছাদ চৌধুরীর কাছে তিন কপি বই দেয়া হয়। টরেন্টোর দুজন স্বজনের জন্য তিনি বই নিয়ে যাবেন। লন্ডনের পর টরেন্টোতে আমার বই যাচ্ছে। ষাট কপি বই নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি, প্রাইভেট কার চালক আব্দুস শহীদ সোয়া ১১টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে, বইয়ের বাক্স ট্রেনের কামরায় দিয়ে গেলেন। সহকর্মী মোঃ সাইফুল আলমের সাথে পাশাপাশি সীটে বসে ঢাকা যাচ্ছি।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আরকে মিশন রোড ডরমিটরি থেকে ৪৫টি বইয়ের বক্স ব্যাটারি রিকশায় চড়ে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করি। বিভাগের অরনেট কোম্পানীর সহকর্মী জীবনকে ফোন দিলে সে ৩০তলা ভবনের নিচে এসে বইয়ের বক্স নিয়ে যায়। দুপুরে বিভাগের কাজে আমি ও আব্দুল জলিল-৯ নির্বাহী পরিচালক ছৈয়দ আহমদ স্যারের চেম্বারে যাই। সেখানে ইএমডি-১ এর পরিচালক মোঃ আলাউদ্দিন হোসেন স্যার, অতিরিক্ত পরিচালক রেবা রাণী রায় ও লাইব্রেরির অতিরিক্ত পরিচালক প্রাক্তন কৃতি এ্যাথলেট আঞ্জুমান আরার সাথে দেখা হয়। দুপুরে নির্বাহী পরিচালক (এলপিআর) মোহাম্মদ মামুনুল হক স্যারের সাথে মেইন বিল্ডিংয়ে দেখা হয়। আজ ১৯৯৩ এডি ব্যাচের উদ্যোগে সদ্য পিআরএলে গমনকারী নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও কাজী রফিকুল হাসান কে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। আজ দুপুরে ফুটবল গুরু Akhlaqul Ambia Choudhury ভাইয়ের সাথে কথা হলো, সফর শেষ করে তিনি এখন ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউজার্সি ইউএসএ ফেরার বোর্ডিং পাস নেয়ার অপেক্ষায়। এবার তাঁর সাথে দেখা হলো না, মহান আল্লাহপাক সহায় হলে শীগ্রই দেখা হবে।
আজ বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (পিআরএল) জনাব কাজী রফিকুল হাসান, পরিচালক (অব:) জনাব এম, ফরদুল আহমদ, অতিরিক্ত পরিচালক (আইসিটি) জনাব মুহম্মদ নুরুল আমিন, যুগ্ম পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংক জালালাবাদ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার এর হাতে তুলে দেই আমার দ্বিতীয় বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি'। নগদ লেখক সম্মানী, খাবারের দাওয়াত পেলাম সহকর্মীদের কাছ থেকে।
এছাড়াও আজ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এইচআরডি-১ এর পরিচালক জনাব মোঃ জবদুল ইসলাম, এইচআরডি-২ এর পরিচালক নাসিমা সুলতানা ম্যাডামের চেম্বারে গিয়ে বই উপহার দেই। সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে শসা ও গাজর ৩০টাকা এবং টমেটো ২০টাকা কেজি দরে কিনলাম। লেবুর দাম হালি ৫০টাকা।
রাতে ডরমিটরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মামুনুর রহমান, মোঃ ফজলার রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আব্দুল আহাদ কে বই দেই। রাতেই ডরমিটরির বাসিন্দা পরিচালক মামুনুর রহমান ও অতিরিক্ত পরিচালক এম,ডি আবুল কালাম আজাদ বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া জানান। রাতে সিলেট থেকে ফোন করেন কবি, গবেষক ও ব্যাংকার আর,কে মোশতাক চৌধুরী।
এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেল্ট ডিপার্টমেন্ট -২ এর পরিচালক জনাব মোঃ দেওয়ান সিরাজ ও টেলিফোন শাখার সহকর্মীদের হাতে আমার দ্বিতীয় বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' দিয়ে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দিনের শুরু হয়। দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন খান স্যারের সাথে দেখা করে বই উপহার দেই।
এসএসসি (১৯৮৪) চুরাশিয়ান বন্ধু, সোনালী ব্যাংক পিএলসি প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার জামান মোল্লার সাথে আজ দুপুরে দেখা করি। কুশল বিনিময়ের পর বন্ধুর হাতে তুলে দেই আমার দ্বিতীয় বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি'।
ঢাকা বইমেলায় ৭১৯ নম্বর 'পাপড়ি' থেকে আজ দুপুরে আমার চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি কিনেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক জনাব জোয়ার্দার ফররুখ আহমদ। আসরের নামাজ পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বরে মতিঝিল অফিসের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের জানাজায় অংশ নেই। তিনি ২০১৭ সালে অবসরে যান। মাগরিবের নামাজ পড়ে ঢাকা কোওপারেটিভ অফিসে যাই। চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী স্যারসহ অনেকের সাথে দেখা ও কথা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বশর আব্দুল ওয়াহিদ খান (মুন্না) ও ডাইরেক্টর মিঠুন দাস কে বই উপহার দেই। আজ সন্ধ্যা রাতে হালকা বৃষ্টি হয়, এটা ২০২৫ এর প্রথম বৃষ্টি। রাতে মতিঝিলে নতুন চালু হওয়া রেস্টুরেন্ট "রিজিক" এ 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' বইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা ৭ জন (মোঃ ফজলার রহমান, মোঃ এহসানুল হক চৌধুরী, জাবেদ আহমদ, মোঃ সাইফুল আলম, মোঃ জহুরুল হক, মোঃ ইকবাল হাসান ও মোঃ আব্দুল আহাদ) একসাথে বসি। বইয়ের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করি, বই হাতে ছবি তুলি। এসময় রেস্টুরেন্টে আসে আমার এসএসসি চুরাশিয়ান বন্ধু, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী নুরুল আলম। তাঁকে আমার দ্বিতীয় বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' উপহার দেই। আজ বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের সহকর্মী মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনের লেভেল ২৮ এ ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্টের পরিচালক কে,এম ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জহুরুল হক ও সালমা বেগম এর সাথে করে বই উপহার দ
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net