জাবেদ আহমদ
১১ এপ্রিল ২০২৫ শুক্রবার সিলেটের বাসায় জুমার নামাজের প্রস্তুতি চলছে। ছোট মেয়ে সায়িমা হুমায়রা এসে বলল মেডিকেল কলেজ বন্ধ, কোথাও বেড়াতে যাওয়া যায় কি-না? আমি বললাম পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব দেখতে এবং খাগড়াছড়ি ও সাজেক ঘুরে বেড়াতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার প্রাচ্যবাংলার কবিরা রওয়ানা দিয়েছেন। বৈসাবি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবের সমন্বিত নাম। ত্রিপুরাদের বৈসুব/বৈসুবা বা বাইসু, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গাদের বিজু। ছেলে-মেয়েদের খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে সাজেক যাবার ভিডিও দেখালাম। দুই মেয়ে ও বড় ছেলে ( নায়িমা বুশরা, সায়িমা হুমায়রা ও সামিন ইয়াসার) সাজেক খাগড়াছড়ি ভ্রমণে গ্রীণ সিগন্যাল দিল। জুমার নামাজের পর পাহাড় ভ্রমণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। বৈশাখের ছুটির আগের দিন ১৩ এপ্রিল আমি ছুটি নিয়েছি, ঢাকায় আমাকে ১৫ এপ্রিল অফিসে যোগদান করতে হবে। সে হিসেবে ভ্রমণসূচি তৈরি করি। ১১ এপ্রিল ২০২৪ রাত ১০টার সৌদিয়া এসি বাসে চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা দেই। ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টায় চট্টগ্রামের দামপাড়ায় পৌঁছে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে অক্সিজেন মোড়ে শান্তি পরিবহনের কাউন্টারে যাই। শান্তি পরিবহন চট্টগ্রাম টু খাগড়াছড়ি/দীঘিনালা যাবার সেরা বাস। আমরা সকাল ৯টার বাসে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা হয়ে দীঘিনালার পথে রওয়ানা দেই। এর আগে বাস কাউন্টারে মালামাল রেখে অক্সিজেন মোড়ের জামান হোটেলে সকালবেলার নাস্তা করি। চট্টগ্রাম নগরীতে জামান হোটেল অতি পুরনো পরিচ্ছন্ন ও ভাল মানের রেস্টুরেন্ট। চট্টগ্রাম নগরী অক্সিজেন থেকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা যেতে চার ঘন্টা সময় লাগে। পথিমধ্যে মানিকছড়িতে যাত্রাবিরতি দেয়। বেলা ১টায়। দীঘিনালায় বাস থেকে নেমে সাজেক যাবার জন্য গাড়ি ভাড়া করি। আমরা চারজন থাকায় জীপ/চান্দের গাড়ি না নিয়ে ৪৭৫ সিসির মাহেন্দ্র অটোরিকশা ভাড়া নেই। সাজেকে এক রাত থাকা, সাইটগুলো দেখানো, পরেরদিন খাগড়াছড়ি এসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাইট দেখানো ছিল চুক্তিতে, ভাড়া ৬ হাজার টাকা। সাজেক কে পাহাড়ের রাণী এবং রাঙামাটির ছাদ বলা হয়ে থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাজেকের উচ্চতা ১৮০০ ফুট (৫৫০ মিটার) , এটি সবুজ ও ঘন বনের জন্য পরিচিত।
একই প্যাকেজে জীপ/চান্দের গাড়িতে যেতে (৭জন) ১১ হাজার টাকা লাগবে। সাজেক যাওয়া আসা দিনে দুইবার সেনাবাহিনীর স্কটে করা যায়। সকাল ১১টায় ও বিকাল আড়াইটায় স্কট থাকে। আমরা বেলা ২টায় দীঘিনালা থেকে বাঘাইঘাটে পৌঁছে পাশ্ববর্তী ৬ নং আদর্শপাড়া জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করি। সড়কের পাশে ফল মার্কেট থেকে পেঁপে, কলা, পাহাড়ি রক্ত জাম খাই। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক আড়াইটায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গড়ি সমুহ সেনাবাহিনীর স্কটে বাঘাইঘাট থেকে সাজেকের পথে রওয়ানা দেয়। প্রসঙ্গত সাজেক হলো রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অধীনে হলেও একমাত্র সড়ক যোগাযোগ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাথে। সাজেক থানার সম্মুখে বিরতি দেয়া হয়, এসময় দুদিকের গাড়িগুলো ক্রসিং করে। পাহাড়ি উঁচু নিচু, আঁকা বাঁকা সড়কে যান চলাচল এমনিতেই ঝুঁকি, ক্রসিং এর সময় অতীব ঝুঁকি থাকে। বিকাল সাড়ে ৪ টায় আমরা সাজেক ভ্যালির পাদদেশে পৌঁছে রুইলুই পাড়ায় আগের রাতে বাসে বসে অনলাইনে বুক দেয়া নিরিবিলি ইকো রিসোর্ট ওঠি। সাজেক পরিবহনের মাহেন্দ্র অটোরিকশার ড্রাইভার মোঃ রাকিব (মোবাইল নম্বর 01558914605) আমাদের সাথে সার্বক্ষণিক ছিলেন, খুবই পেশাদার। সাজেকে সার্বক্ষণিক গাড়ি রাখতে হয়, সাইট দেখা, এমনকি খাওয়া দাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে যেতেও দরকার হয়। দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা জার্নির পরও রিসোর্টে আধা ঘন্টার মধ্যে তৈরি হয়ে আবার গাড়িতে করে আমরা বের হয়ে পড়ি। যেন পর্যটকদের ক্লান্ত হতে নেই। রুইলুই পাড়ায় সড়কে দাঁড়িয়ে ও সাজেক জিরো পয়েন্টের কাছে টিলার ওপর হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে সাথে থাকা দূরবীন দিয়ে সূর্যাস্ত দেখি। মাগরিবের নামাজের আজান হলে পাশের টিলায় সেনাবাহিনীর তৈরি অতীব সুন্দর বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করি। বিকালে আমরা লুসাই হেরিটেজ গ্রামে যাই, তখন তাদের বন্ধ হওয়ার সময় কাছাকাছি চলে এসেছে। সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকাল ৩টা হতে সাড়ে ৫টা। প্রবেশ ফি ৩০টাকা, লুসাইদের কাপড় পরিধান ফি আধা ঘন্টার জন্য ১০০টাকা। আমরা পরের দিন সকালে আসব বলে চলে আসি। সাজেক জিরো পয়েন্টে সন্ধ্যা বেলা সড়কের পাশে খাবারের পসরা সাজিয়ে অনেক দোকান বসে। আমরা আজ দুপুর থেকে নাস্তা ফলফলাদি খেয়ে আছি, সন্ধ্যা বেলাও স্ট্রিট রেস্টুরেন্টে পাহাড়ি নানা পিঠা খাই ও বাঁশে পরিবেশন করা চা পান করি। রাত সাড়ে ৭ টায় আমরা একটি রেস্টুরেন্টে হাঁসের মাংস দিয়ে রাতের ডিনার করি। খাবারের প্যাকেজ মূল্য ছিল প্রতিজন ৩০০ টাকা। পাহাড়িদের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে বাঙালিরা কটেজ ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করে পরিচালনা করেন। সড়কপথে দীর্ঘ ৪২৫ কিলোমিটার জার্নির দখলে আমরা সবাই ক্লান্ত ছিলাম। নিরিবিলির 'চিম্বুলাই' রিসোর্টে ফিরে পরেরদিন ভোরের সাজেক দেখতে আমরা সবাই রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি। ডুপ্লেক্স রিসোর্টে নীচে খাটে আমরা বাপ বেটা এবং কাঠের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে কাঠের ফ্লোরে রাখা বেডে দুই মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। কাঠের খুঁটির ওপর কাঠ, বাঁশ ও ছন নিয়ে নান্দনিকভাবে নির্মিত ১২ টি কটেজ রয়েছে নিরিবিলি ইকো রিসোর্টে। প্রতিটি কটেজের বারান্দায় ইজি চেয়ার, দোলনা রয়েছে। উপর থেকে নিচে যাওয়ার জন্য কাঠের সিঁড়ি রয়েছে। কটেজের বাহিরেও দোলনা বসার বেঞ্চ রয়েছে, সেখানে বসে সাজেকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। চারজনের জন্য রিসোর্টের এক রাতের ভাড়া ছিল ৬ হাজার টাকা। ১২ এপ্রিল ভোরে ওঠে ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে রিসোর্টের নিচ পর্যন্ত যাই। আশপাশের এলাকা দেখি। নিরিবিলি রিসোর্টের কলেজগুলোর নাম পাহাড়ি জনপদের নামে রাখা হয়েছে। এগুলো হলো চিম্বুলাই, মাচাল়ং, লুংঠিয়ান, উদয়পুর, তুইছুই, জৌপুই, বেটলিং ও লংকর। বাচ্চাদের রিসোর্ট পছন্দ হয়েছে, সূর্যোদয় থেকে টানা তিন ঘণ্টা রিসোর্ট এলাকায় তারা ছবি তুলেছে। অগ্রবর্তী টিমের কবি রবিউল আলম রবি সরকার হোটেলটি পছন্দ করে দেন, তাঁরা এখানে কবিতার শুটিং করেছিলেন। সকাল আটটায় রিসোর্টের মেন্ডেটরি ব্রেকফাস্ট করে আমরা লুসাই হেরিটেজ গ্রামে গিয়ে লুসাই সাজে সজ্জিত হয়ে গ্রাম ঘুরে দেখি। প্রায় ঘন্টা খানেক অবস্থান করে আমরা ছুটে চলি কংলাক পাহাড়ের পানে। সাজেক ছাড়ার সকালবেলার স্কটের সময় কাছে চলে আসায় অনেক কষ্টে আমরা দ্রুততার সাথে পায়ে হেঁটে কংলাক পাহাড়ের ওপর গিয়ে সেখানে লেবুর শরবত পান করি। শরবতের মূল্য প্রতি গ্লাস ৫০ টাকা। সাড়ে ১০টায় আমরা নিচে চলে আসলে গাড়ি চড়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কট এলাকায় চলে আসি। সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির পথে সকাল ১১টায় সেনাবাহিনীর স্কটে ফিরতি যাত্রা শুরু করি। বেলা আড়াইটায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কলেজ রোডের নারিকেল গার্ডেন এলাকায় মাউন্ট ইন হোটেলে ওঠি। চারজনের এসি রুমের ভাড়া ৩৫০০ টাকা। জোহরের নামাজ ও ফ্রেশ হয়ে আমরা হোটেলের পাশে থাকা মোহছেন আউলিয়া ভাত ঘরে দুপুরের খাবার খেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ঝুলন্ত ব্রিজ এবং আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখে আসি। বিস্তির্ণ এলাকা নিয়ে দুটি স্পটই খুবই দেখার মতো জায়গা। সময়াভাবে পুরো এলাকা ঘুরে দেখা যায় নি।
খাগড়াছড়িতে 'আলুটিলা সুরঙ্গ/গুহা পাহাড়িরা বলে মাতাই হাকর' শুধু সাহসীরাই পাড়ি দিতে পারে, এটা গুহায় প্রবেশ পথে লেখা রয়েছে। নিজেদের সাহসী প্রমাণ করতে আজ আমরা চারজন গুহায় ঢুকে পড়ি। প্রবেশের পর পিচ্ছিল কাঁদা পানি মাড়ি, অন্ধকারে ১/২ বার পিচ্ছিল খেয়ে জামাকাপড় নষ্ট করেও শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে প্রাকৃতিক গুহা থেকে বের হয়ে বিজয়ের মুহূর্তে ছবি তুলি। বড় ছেলে সামিন আমাদের পিছনে ফেলে গুহা পাড়ি দিয়ে উপরে চলে যায়। আমাদের আনন্দে সামিল হয় পাহাড়ি এক কিশোর। দূর্গন্ধযুক্ত কাঁদা মাখানোহোট কাপড় নিয়ে হোটেলে ফিরে গোসল করে বিশ্রাম নেই। সন্ধ্যায় হোটেল লবিতে প্রাচ্যবাংলার সভাপতি রবিউল আলম রবি সরকার, উপদেষ্টা কবি ও পূথি সম্রাজ্ঞী হাসিনা মমতাজ, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব ডা: এম,এ, হান্নান, কবি কবীর হুমায়ূন, রীনা পন্ডিত প্রমুখের সাথে দেখা হয়।
১৪ এপ্রিল ২০২৫ বাংলা নববর্ষ বৈশাখের প্রথম দিন খাগড়াছড়ি শহরে কাটে। ফজরের নামাজ মাউন্ট ইন হোটেলের কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মসজিদে একা আদায় করি, এ মসজিদে ফজর ছাড়া অন্য ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সাথে আদায় হয়। সকালবেলা হাঁটতে হাঁটতে খাগড়াছড়ি জেলা শহর দেখি। শাপলা চত্বর, খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শহীদ মিনার ঘুরে কলেজ রোড নারিকেল গার্ডেন এলাকায় হোটেলে ফিরে আসি। গোসল করে সকাল ৯ টায় খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ায় মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবে যোগদান করলে আয়োজকেরা স্বাগত জানান। ঢাকার প্রাচ্যবাংলার সভাপতি রবিউল আলম রবি সরকার, হাসিনা মমতাজ, নুরুল শেপার খান প্রমুখ এ উৎসবে ছিলেন। আমার দুই মেয়ে গিয়েছিল উৎসব দেখতে, তারা খুব মজা করেছে। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ১০টায় শহরে বর্ষবরণের রেলি বের করে। ফিরে এসে পানি খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সকাল ১১টায় ব্যাটারি চালিত টমটম চড়ে খাগড়াছড়ি শহরের নানা সড়ক ঘুরে হোটেলে ফিরে আসি। পথে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির নববর্ষের শোভাযাত্রা দেখি। পাহাড়িরা আজ শহরজুড়ে ট্রাকে চড়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করছে। দুপুরে হোটেল রুম ছেড়ে আমরা সবাই লবিতে চলে আসি। আড্ডা আলোচনায় বিকালের সময় কাটে। খাগড়াছড়িতে সিলেটের লোক পিকআপ ড্রাইভার আব্দুল মজিদ ও হোটেল বয় শামীমের সাথে পরিচয় হয়। নববর্ষের ১লা বৈশাখের রাতে খাগড়াছড়ি শহরের কলেজ রোড নারিকেল গার্ডেন এলাকায় মাউন্ট ইন হোটেলের করিডোরে প্রাচ্যবাংলার নববর্ষ কবিতা উৎসব ১৪৩২ এ আমি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলাম। প্রাচ্যবাংলার সভাপতি রবিউল আলম রবি সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি প্রাচ্যবাংলার উপদেষ্টা হাসিনা মমতাজ। উৎসবে খাগড়াছড়ির দু'জন কবিকে আমার দ্বিতীয় বই 'চব্বিশের ঢাকার ডায়েরি' উপহার দেই। রাত ১০টার বাসে আমরা ঢাকা রওয়ানা হই। ১৫ এপ্রিল রাতে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেল চড়ে কাওরান বাজার যাই। ১৬ এপ্রিল সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন স্যারের সাথে তাঁর গাড়িতে চড়ে ছোট মেয়েকে নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরে আসা হলো, স্যারের সৌজন্যে গরুর নেহারি দিয়ে সকালের নাস্তা করি বিকালে মতিঝিল আরকে মিশন রোড বাংলাদেশ ব্যাংক নিবাস থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে নয়নাভিরাম ভাংগা চত্বর ঘুরে শিমুলিয়ায় পদ্মার পাড়ে 'শখের ইলিশ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট' এ পছন্দের ইলিশ মাছ ফ্রাই করে ডিনার করি। সহকর্মী মোঃ ইকবাল হাসানসহ ভাংগা উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করি। সন্ধ্যায় ঢাকায় আমাদের গ্রুপ ফাইভের এডমিন সহকর্মী মোঃ আব্দুল আহাদ ফোন করে বললেন ঢাকায় বেড়াতে আসা আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে রাতে মতিঝিলে ডিনার আয়োজন করেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলি আমরা রাতের খাবার পদ্মার পারে করায় এটা সম্ভব হচ্ছে না। ১৭ এপ্রিল ২০২৫ রাতে সিলেটের বাসায় পৌঁছলে আমাদের এক সপ্তাহের (রাঙামাটির সাজেক, খাগড়াছড়ির ঝুলন্ত ব্রিজ, আলুটিলার গুহা, মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব, ঢাকার মেট্রোরেল আর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ইলিশ ভাজা খাওয়া) আনন্দে ভ্রমণ শেষ হলো।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল
সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
মোবাইলঃ ০১৭৩০১২২০৫১
sylhetexpress.net