
তাসলিমা খানম বীথি :
আমার মন খারাপ ভালো করার প্রতিবেশি কবি জুঁই ইসলাম। আমরা দুজনেই পাশাপাশি পাড়াতে থাকি। যখনই মন খারাপ হয় মধ্যদুপুর কিংবা মধ্যরাতে দুজনে মিলে তুমুল আড্ডা দেই। আমাদের হট্টহাসি শব্দ শুধু দুজনই মোবাইলে শুনি। যাই হোক, ঈদের দিন বের হবো রিকশা ঘুরে নদী পাডে যাবো। লেখকদের বাসা যাবো। কিন্তু সকাল থেকে মন খারাপ হলোও দুপুরে পর জুঁই আপাকে কল দেই। আপাকে বলি বের হই চল। মন ভালো নেই। শুনে আপা বলে দুর বেটী আমার যে ঘুম লাগের। তুই এক কাজ কর ঈদগাহ মাঠে গিয়ে একটা দৌড দেয়। যদি দৌড দিতে পারছ তাহলে এক মাসের ভিতের তোর বিয়ে হবে। বলেই হা হা হা করে হাসতে থাকেন। এখন বুঝেন আপা কি রকম লেজি আর ফাজিল। পরে বলেন না পারলে আমার বাসা আয় আড্ডা দেই। কিছুক্ষণ আপার সাথে কথা বলে সত্যি মন ভালো হয়। আপার সাথে রক্তের সম্পর্ক নেই। অথচ তিনি মনপাড়ায় জুরে আছেন। সুখেদুখে দুজনে একাকার হই।
আপা তোমাকে অনেক ভালোবাসি। প্রার্থনা সবসময় বলি তুমিসহ দুনিয়া সকল সিঙ্গেদে বিয়ে দ্রুত হোক। মনখারাপে মন ভালো করার ভালো প্রতিবেশী সবার আশেপাশে থাকুক।
2.বড় হওয়ার সাথে সাথে ঈদের আনন্দ ফেইক হতে থাকে। তখন শৈশব কৈশোরের সেই আনন্দ আর অনুভবে আসে না। বিশেষ করে যে সন্তানরা পরিবারের দায়িত্ব পালন সবার মুখে হাসি ফুটাতে কাজ করে।
তাদের বেলা শেষে প্রশান্তির হাসি হলো যখন সবাই হাসিমাখা মুখে আনন্দমুহুর্ত এক সাথ উদযাপন করা। নাড়ি ছেড়ে বাড়ি ছেড়ে,ঘরে বাইরে দেশে বিদেশে যারা নিজের সুখ ত্যাগ করে আজকের ঈদে শুধুই সবার জন্য শুভ কামনা ও ঈদ মোবারক।