সিলেট প্রেসক্লাব: সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার বাতিঘর


আনোয়ার শাহজাহান :
সিলেট প্রেসক্লাব আমাদের গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিবার দেশে এলেই শত ব্যস্ততার মাঝেও এখানে যাওয়া হয়, প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করা এবং সুখ-দুঃখের কথা ভাগ করে নেওয়ার জন্য। এটি কেবল সাংবাদিকদের সংগঠন নয়, বরং মুক্তচিন্তা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা সিলেটের সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চাকে সমৃদ্ধ করেছে।
আমি সিলেট প্রেসক্লাবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, বিশেষ করে ২০১৯ সালে প্রবর্তিত #সিলেটপ্রেসক্লাবআনোয়ারশাহজাহানলেখক_সম্মাননা-র জন্য। সিলেট প্রেসক্লাবের সাথে আমার নাম যুক্ত করে প্রতি বছর সিলেটের একজন লেখক-সাংবাদিককে এওয়ার্ড/পদক দেয়া হয়—এটি আমার জন্য এক বিরল সম্মান ও গর্বের বিষয়। শুধু আমার জন্য নয়, এই উদ্যোগ সিলেটের লেখক ও সাংবাদিকদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে, যা সাহিত্য ও সাংবাদিকতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
২০১৯ সাল থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সিলেট প্রেসক্লাব স্থানীয় খ্যাতিমান সাংবাদিক-লেখকদের বাছাই করে তাদের বই প্রকাশ করে সিলেটের সাংবাদিকদের উৎসাহিত এবং সিলেটের সাহিত্যচর্চাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করা হচ্ছে। বিশেষ করে নতুন ও প্রতিভাবান লেখকদের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যা তাদের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের সুযোগ করে দিচ্ছে। এ উদ্যোগের জন্য আমি সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ইকরামুল কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং আমাদের গোলাপগঞ্জের সন্তান, আমার স্নেহভাজন, লেখক সাংবাদিক ফয়ছল আলম-সহ সকল সাবেক ও বর্তমান কমিটির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
গতকাল ৮ মার্চ আমি সিলেট প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি। আমাদের মধ্যে সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সামাজিক দায়িত্ববোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাতের সময় আমি আমার লেখা দুটি বই এবং লেখক গবেষক ফারুক আহমদ-এর তিনটি বই প্রেসক্লাবের পাঠাগারে প্রদান করি। প্রেসক্লাবের পাঠাগার জ্ঞানচর্চার এক সমৃদ্ধ কেন্দ্র, যা সাংবাদিক ও পাঠকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ প্রেসক্লাবের সদস্যদের বই পড়ার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে।
গতকাল সিলেট প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির যে সকল সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, নির্বাহী ও ক্লাব সদস্যগণ: আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, মো. ফয়ছল আলম, শেখ আশরাফুল আলম নাসির, খালেদ আহমদ, শফিক আহমদ শফি প্রমুখ।
সিলেট প্রেসক্লাব কেবল সাংবাদিকদের সংগঠন নয়, এটি মুক্তচিন্তা ও সাহিত্যচর্চার এক উজ্জ্বল প্ল্যাটফর্ম। আমি আশা করি, প্রেসক্লাব ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে এবং সাংবাদিক ও লেখকদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সিলেট প্রেসক্লাবের প্রতি আমার ভালোবাসা ও আত্মিক সম্পর্ক আজীবন অটুট থাকুক।

শেয়ার করুন