জন্মদিনে সারপ্রাইজ ও এক টুকরো অনুভুতি


তাসলিমা খানম বীথি
জীবনের মোর কখন ঘুরে যায় তা কেউ জানে না। 2024 জানুয়ারিতে হঠাৎ করে হসপিটালে জব চলে যায় ঠিক 15দিন মাঝে নতুন জব জয়েন করি। তারপর থেকে সময়টা কেমন হজবরল যাচ্ছে। যাই হোক, বানিআন ব্রিটিশ স্কুলে উইন্টার ফেস্টিভ্যালে অনুষ্ঠান এমন দিনে হলো যেদিন আমার জন্মদিন। তবে স্কুলে কেউ জানতো না। দিনব্যাপী স্কুলের কাজে খুবই ব্যস্ত তার মাঝে উপস্থাপনা ছিলাম। সকালে ভ্রমণকাহিনী লেখক প্রিয় মোয়াজ আফসার ভাই ও ভাবী তাদের স্নেহ জন্মদিনে গিফট দিয়ে ভাবী জড়িয়ে ধরলেন সত্যি হৃদয় নিড়ানো সিক্ত হচ্ছিলাম। পরে শিক্ষাবীদ রোটারিয়ান শ্রদ্ধেয় লে. কর্নেল এম আতাউর রহমান পীর স্যার বক্তব্য ফাঁকে বলে দিলেন আমার জন্মদিনের কথা। এমন মুহুর্ত পুরো স্কুলে থেকে উইশ শুরু।

  1. আমাকে সারপ্রাইজ দিতে ভালোবাসা সিক্ত করলেন সিলেট উইমেন্স জার্নালিস্ট ক্লাবের উপদেষ্টা প্রিয় সেলিনা আপা। স্কুলের হেড অফ প্রিয় লিমি চৌধুরীসহ ডাইরেক্টরদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিনকে স্মরন করে দিলেন। সন্ধ্যা হতেই স্টুডেন্সদের গিফট দিলেন। বছরের শুরুটা যেভাবেই হোক না মনে হলো বছরের শেষদিনটা জন্মদিনের জন্যই যেনো আনন্দ মুহুর্ত অপেক্ষায় সমস্ত কষ্ট ভুলে গেলাম। প্রতি বছরেই এমন ভালোবাসাময় বারবার ফিরে আসুক। মানুষের ভালোবাসা জীবনের সবচে বড় প্রাপ্তী। এর চাইতে বড় কিছু নেই। জন্মদিনে যে যেভাবে উইশ করেছেন সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুক কাছের ও দূরের আপজনরা।
শেয়ার করুন