শাহাদত বখ্ত শাহেদ :
কাওয়ালি পাঞ্জাবি,পশতু, দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপত্তি হওয়া সুফি ইসলামী ভক্তিমূলক সঙ্গীতের একটি ধরণ। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার সুফি মাজার বা দরগাহে পরিবেশিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাওয়ালী জাতীয় গান থেকেই কালক্রমে খেয়াল নামক উচ্চাঙ্গ সংগীতের শ্রেণীটির উৎপত্তি হয়েছে। বাংলাদেশে একসময় বিভিন্ন মাজার শরীফে আসর বসতো। বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যম বিটিভিতে বাংলা কাওয়ালি পরিবেশিত হতো। তৎকালীন সময়ে এদেশে কাওয়ালির ভক্ত ও অনুরাগিরা ছিল। কালক্রমে তা আস্তে আস্তে লোপ পায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা শোনেছি রওশন কাওয়াল জালালাবাদীর কন্ঠে বাংলা কাওয়ালি। তিনি সিলেট বেতারে প্রথম বাংলা কেওয়ালি পরিবেশন করেন। তিনি আত্নীয়তার সূত্রে তার শ্বশুরবাড়ি হাওয়াপাড়ায় আসলে তিনি কাওয়ালি আসর জমাতেন। আমরা এলাকার সবাই একসাথে বসে তার মধুর কন্ঠে বাংলা কাওয়ালি শোনতাম। তিনি নিজে গান লিখে সুর দিয়ে গান গাইতেন।তার পরিবারের ছেলে মেয়েরা সবাই তাকে সঙ্গ দিতেন। উনার একজন ছেলে আনহার সে ভালো তবলা বাদক ছিলো।
আজ শিল্পকলার উদ্যেগে সিলেটে কাওয়ালি সন্ধ্যা পরিবেশিত হচ্ছে। কালপরিক্রমায় ফিরে আসলো
কাওয়ালির আয়োজন। অবশ্যই নতুন প্রজন্মরা কাওয়ালি পরিবেশনার সাথে পরিচিত হতে পারবে।এবং কাওয়ালি গানের কি অনুভূতি তা বুঝতে পারবে।
গানের জগতে কাওয়ালি এক অভিনব সংগীত যারা গানের গভীরে ঢুকতে পারেন তারাই বুঝতে পারেন
এই সংগীতের মাজেজা। শুভ হোক সফল হোক কাওয়ালি সন্ধ্যা।৷