দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইফতেখার আলম বলেছেন, শিশুদেরকে ইতিবাচক চিন্তায় বড় করে তুলতে হবে। এজন্য বইপাঠের সাথে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে তাদের মধ্যে চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটবে। এ বিকাশ থেকে তারা রংতুলিতে যেকোনো বিষয়কে তুলে ধরতে পারবে। বইপাঠের মাধ্যমে অর্জনকৃত চিন্তার ছাপ তাদেরকে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের ভাবনাগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর ১৬ দিনব্যাপী অষ্টাদশ বইমেলার তৃতীয় দিনে ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রুপের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও ভিন্নধারা সম্পাদক জাহেদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সিলেট ব্যুরো প্রধান গল্পকার সেলিম আউয়াল, বইমেলা উপকমিটির সদস্য গল্পকার মিনহাজ ফয়সল। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার চিত্রশিল্পী কবির আশরাফ এবং চিত্রশিল্পী সামিয়া খাতুন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হন জুনাইনাহ যিকরা ওয়াফা, দ্বিতীয় হন যৌথভাবে নাজমুস সাকিব তোয়ামিন ও ফাতিমা আকমল তানশীয়াত এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন অভ্রনীলা বণিক। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম স্থান লাভ করেন ফাতিন ইশরাক মাহির, দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন আফনানুল করিম চৌধুরী এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন তাহরিয়া হোসেন। ‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম স্থান লাভ করেন মাইশা নুসরাত তাহা, দ্বিতীয় হন জায়ারা আফরিন চৌধুরী এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন আসমা উল হুছনা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় ‘খ’ গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছিল ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তাদের বিষয় ছিল জুলাই বিপ্লব, মাধ্যম ছিল প্যাস্টেল কালার, ‘গ’ গ্রুপে ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের বিষয় ছিল জুলাই বিপ্লব এবং মাধ্যম পেন্সিল স্ক্যাচ। ‘ঘ’ গ্রুপে কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিষয় ছিল জুলাই বিপ্লব এবং মাধ্যম জল রং।
উল্লেখ্য, অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এ এইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত করা হয়েছে। বইমেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা। বইমেলা উপলক্ষে সাহিত্য সংসদ গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় হাতের লেখা প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ) এবং গান প্রতিযোগিতা (সব গ্রুপ), ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সাহিত্য আসর, ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (বিশেষ এবং ক গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে আলোচনা সভা : ছড়াসাহিত্য, ছড়া পাঠের আসর, ৭ ডিসেম্বর শনিবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (খ, গ ও বিশেষ গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩টায় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ), ৯ ডিসেম্বর সোমবার উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ), ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ক্বিরাত প্রতিযোগিতা (বিশেষ, ক ও খ গ্রুপ), ১১ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ‘লিটলম্যাগ আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কেমুসাস সাহিত্য আসর, ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সমাপনী, পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।