ছড়াকার ও কথাসাহিত্যিক কামরুল আলমের ৪৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গত সোমবার প্রকাশনাসংস্থা পাপড়ির পাঠক সংগঠন পাপড়ি বুকক্লাবের উদ্যোগে সিলেট নগরের তালতলাস্থ পাপড়ি কার্যালয়ে আয়োজিত সুহৃদ সন্ধ্যায় সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক কবি মোঃ আমিনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও বাসস সিলেটের ব্যুরো চিফ গল্পকার-সাংবাদিক সেলিম আউয়াল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু, কবি বাছিত ইবনে হাবীব ও ভ্রমণকাহিনি লেখক মোয়াজ আফসার।
আলোচনায় অংশ নেন ছড়াকার রিপন আহমদ ফরিদী, গল্পকার ও অভিনেতা মিনহাজ ফয়সল, গীতিকবি নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, সাংবাদিক এম. এ ওয়াহিদ চৌধুরী, গল্পকার তাসলিমা খানম বীথি, কবি জুবের আহমদ সার্জন, ছড়াকার ও চিত্রশিল্পী কবির আশরাফ, ছড়াকার আবদুল কাদির জীবন, ছড়াকার মুয়াজ বিন এনাম, গল্পকার আহমদ জুয়েল, কবি মইনুল হাসান আবির, ছড়াকার জহুর মুনিম, কবি সুফি আকবর, কবি জেসির আরাফাত, গল্পকার মিলাদ হোসেন সুজন, কবি সোলেমান রাসেল, জুনাঈদ আহমদ। গান পরিবেশন করেন শিল্পী মোঃ ওমর ফারুক ও আহমেদ কায়েস। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছড়াকার ও বাচিক শিল্পী নাঈমুল ইসলাম গুলজার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, আজকের আলোচিত-আলোকিত একজন কামরুল আলম; তাঁর বাড়ি সিলেটে। কামরুল আলম ইচ্ছে করলে চলে যেতে পারতেন ইংল্যান্ড। তাঁর বড় ভাই কানাডার একটি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। তাঁর বাবা কবি করামত আলী ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ। এই উত্তরাধিকার বহন করে তিনিও চলে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি প্রকাশনাসংস্থা পাপড়িতে শ্রম দিচ্ছেন। এটা তাঁর বড় একটি স্যাক্রিফাইস।
বিশেষ অতিথি কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী কামরুল আলম একজন আলোকিত মানুষ। তার ৪৪তম জন্মবার্ষিকীতে আমি সুস্থ-সুন্দর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, কামরুল আলম একটি আলোকিত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ছিলেন শিক্ষক, তিনিও অধ্যাপনা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা আশা করি তাঁর বংশধারা এভাবেই চলবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে।
অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছড়াকার কামরুল আলম তাঁর জীবন সম্পর্কে নানা কথা বলেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এরপর ছড়াকার কামরুল আলম-এর ৪৪তম জন্মবার্ষিকী স্মারক ‘ছন্দাকারে চুয়াল্লিশ’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।