
গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে বাকি সব জাহাজই আটক করেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে জাহাজগুলো থেকে অন্তত ৩১৭ জন স্বেচ্ছাসেবীকে আটক করা হয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনসম্মত নৌ-অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।’
তবে তারা বলেছে, ‘সব যাত্রী নিরাপদে ও সুস্থ আছেন। তাদেরকে নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।’
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘আরেকটি জাহাজ রয়েছে। সেই জাহাজ যদি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও আটক করা হবে।’
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস-সুমুদ প্ররোচনামূলক কোনো নৌযান সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা আইনসংগত নৌ অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টায় সফল হয়নি।
ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট নৌযান ছিল ৪৪টি। ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযানের বহর আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ফ্লোটিলার প্রথম বহরটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরো নৌযান যুক্ত হয়।
এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কয়েকটি নৌযান ত্রাণ নিয়ে ফ্লোটিলায় যোগ দেয়।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গাজার মানুষের জন্য সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। বহরে প্রায় ৪৪ দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন-যাদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা।