কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মাহবুব-ই-এলাহী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির বিবেক ও আলোকবর্তিকা। তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গভীর বেদনার দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। তাদের মানবিক, নৈতিক চিন্তাধারা ও দর্শনকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জ্ঞাননির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। প্রফেসর ড. মাহবুবু-ই-এলাহী বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে ইতিহাস জানাতে হবে এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস জোগাতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সংসদের ১৯তম বইমেলা মঞ্চে এ সভার আয়োজন করা হয়।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদের সহসভাপতি সাংবাদিক-কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, চব্বিশের ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষের বাইনারি তুলে ধরে প্রকৃত ইতিহাসকে আড়াল করা হয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানসহ যত আন্দোলন হয়েছে, বারবার এ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ হয়েছে। তাই শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন নিয়েই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে যেতে হবে। সভায় বক্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল, সহসভাপতি রুহুল ফারুক, কার্যকরী পরিষদ সদস্য কবি কামাল তৈয়ব অ্যাডভোকেট, কবি মুহাম্মদ ফয়জুল হক এবং কেমুসাস বইমেলা উপকমিটির সদস্য মফিক মোহাম্মদ।
সভাপতির বক্তব্যে আফতাব চৌধুরী বলেন, শোষণ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।