এবং তুমি

তাসলিমা খানম বীথি :

চলে আসো ময়মনসিংহ দুজনে মিলে নৌকা পদ্ম বুকে ঘুরে বেড়াবো। এমনি করে ভালোবাসতে হয়। বুঝলে প্রিয়া। পদ্ম ফুলের ফুটন্ত তাজা ফুলে মিষ্টি সুগন্ধ আর সৌন্দর্য বিলিয়ে পদ্ম ফুলের রং আমরাও বিলিন হয়ে যাবো।

-শুনছো????

-আহা কী মায়াময় আবেগ কবিতা।

-অবশ্যই শুনছি ভিষণ ভালো লাগছে

-মধ্য রাতে কেউ পাশে বসেশুনালো মনে হলো

-কবিতা শুনে মন খরাপ হচ্ছে। ফারাবী তোমাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছা করছে। পাশে বসে কাঁদে হেলান দিয়ে কবিতাময় রাত যাপন করি। কবিতা শুনে সমুদ্র ঢেউ মত আঁচরে পড়ছে বুকে।

-তোমার লেখা কবিতা।

– হুমম

-নাম কি?

-তুমি দারুণ আবৃত্তি কর। প্রত্যেকটি শব্দ হৃদয়ে গেথে যায়। বেশ।

-নাম কি?

-অতঃপর গাঙচিল।

– আমাকে রোজ কবিতা শুনাবে।

-সেদিন তোমার শহরে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ধুয়া ওড়া গরম চা কাপে চুমুক দিয়ে তোমার চোখে চোখ রেখে কবিতা শুনাবো। কিন্তু তুমি সেদিন আসলে না। অনেক কল দিলাম। তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।

-কবে কখন? তোমার কল আসেনি।

– আমার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিলো না পাশে এক জনের নাম্বার দিয়ে কল দিয়েছিলাম।

– এই জন্য আমি রিসিভ করিনি। কারন অপরিচিত নাম্বারে কল ধরি না। অফিসে আসতে পারতে। চলে গেলো কেন?

-তোমার ব্যস্ততা আমাকে আঘাত করেছে! এছাড়া কোনো কাজ ছিল না থাকার। শেষদিন সুরমা পাড়ে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘক্ষণ।

-অফিসে কাজ ছিল। তাই বের হতে পারিনি।

-দু’লাইন গান শোনাই তোমাকে! হঠাৎ করে দুঃখ পেয়ে বসলো খুব করে। লেখক ছাড়া লেখককে কেউ বুঝে না।

-আহা!

-আমার এতো দুঃখ কেন মাঝে মধ্যে ভেবে পাইনা জানো মনিকা! চোখ বেয়ে অঝরে অশ্রু শিক্ত হচ্ছে।

আমি কেন কাঁদছি বলতে পারবো না। কেন আমার কষ্ট হচ্ছে, সেও বলতে পারবো না!

-দুর পাগল। আবেগ মাটি চাপা দাও। জীবনকে গুছিয়ে নাও। জন্মদুঃখী মানুষ চাপা আর দেবে কতটুকু..হ্যালো …হ্যালো মনিকা… !

শেয়ার করুন