দোয়ারাবাজারে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক পাইকপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মিজানুর রহমানের সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাবাজার ইউনিয়নের বরইউরি গ্রামের মরহুম আব্দুল বারিকের পুত্র মিজানুর একজন কোরআনে হাফেজ। বরইউরি মৌজায় ১৩২ নম্বর খতিয়ানে ১৬২ ও ১৬৩ নম্বর দাগে মোট ৫৬ শতক ভূমির একক মালিক তিনি। তার ওই সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে উস্তেঙ্গের-গাওর মৃত রেজু মুন্সির পুত্র ওহিদুল ইসলাম ও তার ভাই-বোনদের। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ তিনি এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, তার পিতা ১৯৭৫ সালে পৃথক দুটি দলিলে এই সম্পত্তি ক্রয় করেন। এর পর থেকেই এই ভূমি ভোগদখল করে আসছেন এবং খাজনা পরিশোধ করেন। তার পিতা মারা যাওয়ার পর ২০০৩ সালের মাঠ জরিপে এবং ছাপা খতিয়ানেও এই সম্পত্তি তার নামে রেকর্ড হয়েছে। মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এই ৫৬ শতক ভূমির মধ্যে প্রায় ১৫ শতক ভুমি ওহিদুল ইসলাম ও তার ভাই বোনেরা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে তারা সকল গাছপালাও কেটে নিয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে তার কাছে ভিডিও রযেছে। তিনি বলেন, বরইউরি বহুমুখী আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ওহিদুল ইসলাম অবৈধ প্রভাব খাটাচ্ছে। তার ভাই জাকির হোসেন, দিলওয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, হাফিজ সুলতান মাহমুদ ওরফে (আঙ্গুর মিয়া) ও বোন বিলকিস বেগম এবং মমতা বেগম এই অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি এই ভূমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুনামগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে স্বত্ত মোকদ্দমা দায়ের করেছেন। যার নং- ৮৭/২০২৫। এছাড়া আদালতে আরেকটি পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। যার নং ২৩৯/২০২৫। এই মামলা দুটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মিজানুর রহমান আরো জানান, এই পিটিশন মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নালিশা ভূমিতে বিবাদী পক্ষকে প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন এবং হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু তারা আদালতে কারণ দর্শানোর জবাব দেয়নি। উল্টো প্রভাব খাটিয়ে দখলকৃত ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করছে। শুধু তাই নয়, ওহিদুলের পক্ষের দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাকেসহ তার পক্ষের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তিনি জান-মালের নিরাপত্তায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে ওহিদুল ইসলাম এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।