সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ‘মিনিস্টার বাড়ি’ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের দাবি উঠেছে সিলেটজুড়ে। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাড়ির বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারেও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মিনিস্টার বাড়ির ফটকে পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে স্থপতিদের সংগঠন ‘ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক বাংলাদেশ’ (আইএবি) ও সেভ দ্য হেরিটেজ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
‘মিনিস্টার বাড়ি’র প্রধান ফটকের সামনে যখন সিলেটের বিশিষ্টজন এটি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়ান, তখনও প্রাচীরের ভেতর থেকে ভেসে আসছিল ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি ভাঙার শব্দ।
শুক্রবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাড়িটি পরিদর্শন করে রবিবার পর্যন্ত ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল। ওই নির্দেশনায় ওইদিন ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হলেও পরদিন অর্থাৎ আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মূল ফটকে তালা মেরে বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে।
বাড়িটি রক্ষায় আয়োজিত মানববন্ধনে সূচনা বক্তব্য দেন ‘পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ’ সিলেটের ট্রাস্টি রেজাউল কিবরিয়া।
সেভ দ্য হেরিটেজের পক্ষে সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদীর সঞ্চালনায় দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, লেখক-সংগঠক সৈয়দ মনির হেলাল, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ (আইএবি) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি রাজন দাশ, সাংবাদিক আব্দুল কাদের তাপাদার, মুহিত চৌধুরী, সিলেট লেখিকা সংঘের সাধারণ সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘সিলেট যেমন প্রাকৃতিকভাবে সম্পদসমৃদ্ধ, তেমনি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়েও সমৃদ্ধ। অতীত ইতিহাস সুরক্ষিত থাকে স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে। এ অবস্থায় মিনিস্টার বাড়িটি নিশ্চিহ্ন হলে ইতিহাসের একটি প্রমাণ হারিয়ে যাবে।
’