
শাহাদত বখ্ত শাহেদ :
সিলেটের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমানে নেতৃত্ব সংকট এক গভীর বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়তা, দলীয় বিভাজন ও মাঠপর্যায়ের কর্মীদের অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে সিলেটের রাজনীতি যেন এক অচলায়তনে পরিণত হয়েছে। এমন সময়েই আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী—যিনি বাস্তবিক ও কর্মনিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই মেয়াদকাল জুড়ে আরিফুল হক চৌধুরী নগর উন্নয়ন, অবকাঠামো, ড্রেনেজ, সড়ক সংস্কার, বিদ্যুৎ ও পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তার মেয়রত্বে সিলেট শহর পরিকল্পনা, নাগরিক সেবার মানোন্নয়ন এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। অনেক বিতর্কের মাঝেও তিনি নাগরিকদের আস্থার জায়গা ধরে রেখেছিলেন – যা আজও সিলেটবাসীর আলোচনায় জীবন্ত।
বর্তমান সময়ে সিলেটের রাজনীতি ব্যক্তিনির্ভরতা ও তোষামোদি সংস্কৃতিতে জর্জরিত। সেখানে আরিফুল হক চৌধুরীর রাজনীতি ছিল মাঠভিত্তিক, প্রজন্মমুখী ও বাস্তব চিন্তায় পরিপূর্ণ। তিনি কেবল রাজনৈতিক বক্তা নন; ছিলেন কর্মী ও প্রশাসনিক কৌশলী – যা সংসদীয় রাজনীতির জন্য অপরিহার্য গুণ।
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের জনমত যাচাই করলে দেখা যায়, রাজনৈতিক অচলাবস্থায় আরিফুল হক চৌধুরীকে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে দেখছেন বহু নাগরিক। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজ মনে করে—একজন বাস্তববাদী, পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবেই তিনি সংসদীয় নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন।
সিলেটের বর্তমান রাজনীতিতে নীতিনিষ্ঠ, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতার বড় অভাব। এই প্রেক্ষাপটে আরিফুল হক চৌধুরীই এখন অনেকের মতে সেই “অগ্রণী মুখ”, যিনি দল ও জনতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সক্ষম।
রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা সাময়িক, কিন্তু নেতৃত্বের মূল্যায়ন হয় কাজ দিয়ে। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাজ, সততা ও অভিজ্ঞতা তাকে আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে। সিলেটবাসী যদি আগামী নির্বাচনে বাস্তববাদী নেতৃত্বের সন্ধান করে, তবে আরিফুল হক চৌধুরী নিঃসন্দেহে সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন-এমন মতামত দিচ্ছেন সচেতন ভোটাররা।
২১ অক্টোবর -২০২৫
সিলেট