প্রবাসীর বাসা দখল পায়তারার অভিযোগ


নগরীর বাগবাড়ী নরসিংটিলার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. কামাল আহমদের বাসা দখলের পায়তারা করছে একটি চক্র। সেই সাথে প্রবাসী এই কমিউনিটি নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাসহ মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ওসমানীনগরের পাঁচপাড়া গ্রামের আয়না মিয়ার পুত্র আওলাদ মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওলাদ মিয়া জানান, প্রবাসী কামাল আহমদ সম্পর্কে তার ভাই হন। ২০১৮ সালে বাগবাড়ী নরসিংটিলা ৪৭/৪ নং বাসাটি ক্রয় করেন কামাল আহমদ। ওই বাসার নামকরণ করেন ওসমানীনগর হাউজ। এই বাসার ভাড়াটিয়াদের একজন হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার রৌয়াইল গ্রামের মুহিবুর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম। এই হাসনা বেগম এসএমপির লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলী খান এবং স্থানীয় সেচ্ছাসেবক দলের কামরুজ্জামান দিপুর সহযোগিতায় বাসা দখলের অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে আওলাদ বলেন, হাসনা বেগম গত বছরের জুন মাসে ১২ হাজার টাকায় বাসাটি ভাড়া নেন। এরপর গত ১১ মাসের মধ্যে তিনি ৪ মাসের ভাড়া পরিশোধ করেন। কিন্তু বাকি টাকা চাইলে তিনি পরিশোধ না করে উল্টো খারাপ আচরণ করেন। যে কারণে কেয়ারটেকার রিপন বাদী হয়ে গত ২৬ এপ্রিল কোতয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলী খানকে দায়িত্ব দেন। আলী খান তদন্তে গিয়ে ভাড়াটিয়া হাসনা বেগম চক্রের ফাঁদে পড়ে যান। তিনি হাসনা বেগমের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছেন এবং হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমাদের মামলা রেকর্ড না করে হাসনা বেগমকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন।
আওলাদ মিয়া আরও অভিযোগ করেন, এসঅই আলী খান এবং স্থানীয় চক্রের প্ররোচনায় হাসনা বেগম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলাতেই কামাল আহমদ, কামাল আহমদের স্ত্রী এবং তাকে আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলাই মিথ্যা এবং কাল্পনিক বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ওই চক্রটি কামাল আহমদকে আওয়ামী লীগার বানাতে নানা ফন্দি আটছে। অথচ, তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। এমনকি এই হাসনা বেগম গত ১৯ মে সংবাদ সম্মেলন করে চরম মিথ্যাচার করেছেন। কামাল আহমদের সাথে হাসনা বেগমের কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। ধর্মের বোন ডাকার বিষয়টিও মিথ্যা। মেজরটিলা অন্ধ সমাজকল্যাণ মার্কেটের পাশে কামাল আহমদের মালিকানাধীন ৬০ শতক ভূমি রয়েছে। তার নিকট ৪ শতক বিক্রি করার কোন কারণ নেই। এটি কাল্পনিক কথা। আর হাসনা বেগমের নিকট থেকে কামাল আহমদের টাকা নেয়ার বিষয়টি চরম মিথ্যাচার বলে আখ্যায়িত করেন। প্রবাসীর সম্পত্তি রক্ষার্থে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সিলেটের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

শেয়ার করুন