
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ তার ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন জালালাবাদ থানার ইনাতাবাদ গ্রামের মো. তেরাব আলীর পুত্র শাহীন আহমদ।
রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন জানান, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। ২০২৩ সালে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের দুই ভাই শামসুল ইসলাম ও শায়েস্তা মিয়া তাদের ৬ শতক জায়গা বিক্রি করতে চাইলে তিনি ক্রয় করতে সম্মত হন। মিসাবহ উদ্দিন সিরাজের আশ^াসে ও একই এলাকার হওয়ার সুবাধে তিনি সরল বিশ^াসে ২০২৩ সালের ১৮ ও ২০ সেপ্টেম্বর সোশাল ইসলামী ব্যাংক টুকের বাজার শাখায় তার একাউন্ট থেকে শায়েস্তা মিয়ার একাউন্টে ২ লাখ টাকা স্থানান্তর ও নগদ আরো ৫৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এই টাকা নেওয়ার পর জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিতে তারা টালবাহানা শুরু করেন। এই অবস্থায় তারা জানতে পারেন ওই জায়গার দলিলপত্রে সমস্যা রয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপন করতে থাকে। বিষয়টি আত্মীয় স্বজনসহ সালিস ব্যক্তিবর্গকে অবগত করলে তারা একাধিক তারিখ করেও টাকা ফেরত দেয়নি। বরং টাকা চাইলে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়াসহ নানা হুমকি-ধমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
শাহীন অভিযোগ করেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ, তার ভাই শামসুল ইসলাম ও শায়েস্তা মিয়া, শায়েস্তা মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান রেজা, নাহিদ আহমেদসহ তারা সবাই লোভী, আত্মসাতকারী, প্রতারক, দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। আওয়ামী লীগর সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। জাগয়া জমি জোরপূর্বক দখল করাসহ মানুষের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানান তিনি। শাহীন আহমদ এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. ঈদ্রিস আলী, মো. শাহেদ আলী ও মো. মন্নান মিয়া প্রমুখ।