
প্রাচীন একটি প্রবাদ আছে, সমাজ থেকে যখন একজন বয়স্ক লোক চলে গেল, তখন যেন একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি পুড়ে গেল। সিরাজুল হক কেমুসাসের সাহিত্য আসরের একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন। কেমুসাস পাঠাগারেও তিনি নিয়মিত আসতেন, বই পড়তেন। তিনি ছিলেন একজন নিভৃতচারী লেখক। তাঁর ইন্তেকালে আমরা সবাই শোকাহত।
ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২২৯তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে আলোচকগণ উপরোক্ত কথা বলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছাড়াকার সাজ্জাদ আহমদ সাজুর সঞ্চালনায় আসরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, কথাসাহিত্যিক মোহাম্মদ আব্দুল হক, কবি মাহফুজ জোহা ও কবি ছয়ফুল আলম পারুল।
সাহিত্য আসরে লেখা পাঠ করেন মোয়াজ আফসার, আতাউর রহমান বঙ্গী, মকসুদ আহমদ লাল, জুবের আহমদ সার্জন, কামাল আহমদ, নাহিদ আহমদ, মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ, তারেক রহমান, মুহা. হুসাইন হামিদ, মো. সোয়েব আহমদ, মো. দিদার আহমদ প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন লিলু মিয়া। আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জসিমউদ্দিন রাহমানি। সেরা লেখক মনোনীত হন মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ।